Illegal Construction: ব্যাঙ্ক লোন করে ফ্ল্যাট! ‘বেআইনি’ জানতে পেরে দিশাহারা আবাসিকরা
চেয়ারম্যানের বক্তব্য, তাঁরা বারবার সতর্ক করেন, কোনও সম্পত্তি কেনার আগে পুরসভায় খোঁজ নিতে বলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই আবাসনের বাসিন্দারা বলছেন, পুরসভা থেকে ট্যাক্স মিউটেশনের কাজ করিয়েছেন। তাহলে পুরসভা সে কাজ কীভাবে করল? প্রসঙ্গত, একটি মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ২৭ জুনের মধ্যে এই আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
হুগলি: বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মোতাবেক ফ্ল্যাটের বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হল বৃহস্পতিবার। হাইকোর্টের নির্দেশে উত্তরপাড়া পুরসভার ৭ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি ফ্ল্যাটের অবৈধ অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয় এদিন। এই অবৈধ ফ্ল্যাটে মিউটেশন করে ট্যাক্স দিয়ে বসবাস করছিলেন অনেকেই।
৫৬ নম্বর অমরেন্দ্র সরণিতে গঙ্গার পারে একটি বেআইনি ফ্ল্যাটের একাংশ পুলিশের উপস্থিতিতে ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয় বৃহস্পতিবার। আবাসিকরা জানান, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। পুরসভা সমস্ত মিউটেশনের কাজও করে দেয়। তাঁদের ট্যাক্সও দিতে হয় নিয়ম মেনে। অথচ এখন জানতে পারছে এই ফ্ল্যাটেরই একটা অংশ বেআইনি। তাঁরা বলছেন, আগে জানলে এমন ফ্ল্যাট কিনতেনই না।
২ বছর ধরে এই আবাসনে আছেন শ্যামলী ঘোষ। তিনি বলেন, “বাচ্চা, বয়স্ক মানুষদের নিয়ে ফ্ল্যাটে থাকছি। হঠাৎ করে এসে যদি এরকম বলা হয় আমরা কোথায় যাব। ট্যাক্স মিউটেশন হয়েছে, লোন করা প্রপার্টি। কী করে এটা অবৈধ হয়, আর রাতারাতি কী করে ভাঙা হয় জানি না। পুরসভা তো অনুমতি দিয়েছিল। আজ পুলিশ এসে বলছে এটা বেআইনি প্রপার্টি, ভাঙতে হবে। আর এভাবে হঠাৎ করে কিছু হয় না।”
উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদবের বক্তব্য়, “কোর্ট নির্দেশ দিলে আমাদের তা মানতেই হয়। সেই নির্দেশ মানতে গিয়েই আজ উত্তরপাড়া ও ভদ্রকালীতে ১৭ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড দু’টি বেআইনি অংশ ভাঙতে হয়।” তিনি বলেন, যাঁরা নির্মাণ করেন, তাঁরা অনেক সময় নিয়ম মানেন না। আদালত যখন নির্দেশ দেয় তখন সময় বেঁধে দেয়।পুরসভার ইঞ্জিনিয়ররা এদিন শুধু নির্দেশ পালন করতে গিয়েছেন।
চেয়ারম্যানের বক্তব্য, তাঁরা বারবার সতর্ক করেন, কোনও সম্পত্তি কেনার আগে পুরসভায় খোঁজ নিতে বলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই আবাসনের বাসিন্দারা বলছেন, পুরসভা থেকে ট্যাক্স মিউটেশনের কাজ করিয়েছেন। তাহলে পুরসভা সে কাজ কীভাবে করল? প্রসঙ্গত, একটি মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ২৭ জুনের মধ্যে এই আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন।