খানাকুল : খানাকুলের বিজেপি (BJP) নেতা অজয় প্রামানিকের মৃত্যুতে বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই বিজেপি নেতার মৃতদেহ মিছিল করল পদ্ম শিবির। মিছিল গেল খানাকুলের নতিবপুরে মৃতের বাড়িতে। এরপর সন্ধ্যায় খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ ও আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি অরিন্দম কর্মকারের নেতৃত্বে অজয়ের মৃতদেহ নিয়ে খানাকুল থানা মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, এলাকার তৃণমূল নেতাদের হুমকির মুখে পড়েই আত্মহত্যা করেছেন অজয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তুলতে গিয়ে দুস্কৃতীদের হাতে মৃত্যু হয়েছিল খানাকুলের বিজেপি নেতা সুদর্শন প্রামানিকের। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই রয়েছেন এ ঘটনার নেপথ্যে। বিজেপির অভিযোগ,ঘটনার পর থেকেই ওই বিজেপি কর্মীর ভাইপো অজয় প্রামানিক ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূলের লোকজন। এরই মাঝে ওই একই পাড়ায় রাজিনৈতিক হিংসায় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা দেবু প্রামানিকের। তারপর থেকে প্রায় ২ বছর ধরে এলাকা ছেড়ে হাওড়ার মুন্সিরহাটে পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন অজয়। এলাকায় না থাকলেও তাঁকে নিয়মিত হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের খানাকুলের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে গত বুধবার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অজয়। তারপর থেকে হাওড়ার আমতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন তিনি। বুধবার বিকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে পদ্ম শিবির। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন “তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অজয় প্রামাণিক। পুলিশ-প্রশাসন এ ঘটনায় কোনও সঠিক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সে কারণেই আমাদের পথে নামতে হয়েছে। বাধ্য হয়েই রাস্তা অবরোধ করছি।” যদিও এলাকার তৃণমূল নেতাদের দাবি, কোনও হুমকিই দেওয়া হয়নি। প্রেমঘটিত কারণেই ও আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। খানাকুলের তৃণমূল নেতা অনুপ মাইতির দাবি, “অজয়ের মৃত্যুতে অযথা রাজনীতির রং দিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি। তবে তাতে কিছু লাভ হবে না।”