AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bus Strike: ঠায় দাঁড়িয়ে ৫০০টি বাস, গড়াচ্ছে না চাকা! অফিস টাইমে নয়া অনিশ্চয়তা

Bus Strike: আপাতত বাস রুটে টোটো-অটোর অবৈধ যাতায়াত বন্ধ না করা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে বলেই জানিয়েছে মালিক সংগঠন। এদিকে ধর্মঘটের জেরে নাজেহাল হয়েছে জনজীবন।

Bus Strike: ঠায় দাঁড়িয়ে ৫০০টি বাস, গড়াচ্ছে না চাকা! অফিস টাইমে নয়া অনিশ্চয়তা
প্রতীকী ছবিImage Credit: Getty Image
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2025 | 10:05 AM
Share

হুগলি: সপ্তাহের প্রথম দিনেই বাস নিয়ে অনিশ্চয়তা। সাতসকালে বাস ধর্মঘটের ডাক দিল বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশন। নাজেহাল যাত্রী। ভারী অঙ্কের পয়সা খসিয়ে যেতে হচ্ছে কাজে।

এদিন অনির্দিষ্টকালের জন্য আরামবাগে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশন। গোটা সড়ক জুড়ে টোটো-অটোর দাপাদাপি, ব্যবসায় ক্ষতি-সহ একাধিক দাবি ঘিরে সরব হয়েছে তারা। এই নিয়ে আগেও প্রশাসনের দুয়ারে যাওয়া হয়েছিল। রাস্তাঘাটে টোটো-অটোর দাপাদাপি নিয়ে অভিযোগও করা হয়েছিল আরামবাগের বাস মালিক সংগঠনের তরফে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু না হওয়ায় ধর্মঘটের পথ বাছা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনের নেতৃত্বরা।

আপাতত বাস রুটে টোটো-অটোর অবৈধ যাতায়াত বন্ধ না করা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে বলেই জানিয়েছে মালিক সংগঠন। এদিকে ধর্মঘটের জেরে নাজেহাল হয়েছে জনজীবন। গুম মেরে দাঁড়িয়ে একের পর এক বাস। প্রতিদিন সকালে শহর সংযুক্ত করা বাসগুলোর হদিশ নেই। আর তা দেখে থ হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা।

যেখানে প্রত্যেকদিন দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ কলকাতা লোকাল ও এক্সপ্রেস মিলিয়ে প্রায় ৫০০টি বাস জড়ো হত আরামবাগ বাস টার্মিনাসে। সোমের সকালে তারা সব হয়েছে ‘নিখোঁজ’। ফলত, অফিস-কাছারি যেতে সেই সঙ্গী ভাঙা রুটের টোটো-অটো।

এক ক্ষিপ্ত যাত্রী জানাচ্ছেন, ‘হরিপাল থেকে এসেছি। প্রতিদিন এখান থেকেই বাসে চেপে কাজে যাই। অন্য গাড়িগুলো দু’শো টাকা ভাড়া চাইছে। এত টাকা কোথায় পাব?’ আরও এক কলকাতা-গামী যাত্রীর দাবি, ‘বাস পাইনি। ব্যক্তিগত ভাবে গাড়ি ভাড়া করে আপাতত এতটা এলাম। কিছুই করার নেই।’

ধর্মঘট প্রসঙ্গে আরামবাগ বাস-মিনিবাস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বৈদ্যনাথ নন্দী জানিয়েছেন, ‘এই ধর্মঘটের কথা আমরা এক মাস আগে প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। জেলায় মিটিং হয়েছিল। জেলাশাসকের কাছে চিঠিও জমা দিয়েছিলাম। আমরা জন সাধারণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। যেখানে হুগলিতে ১৭০০ বাস ছিল। তা আজ এসে ঠেকেছে ৫০০-তে।’