Chandannagar: ‘…. আমারই দোষ’, চন্দননগরে শিশু খুনে মায়ের বয়ানে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য
Chandannagar: পরিবারের দাবি, ডাকাত পড়েছিল বাড়িতে। আলমারি থেকে খোয়া গিয়েছে নগদ টাকা, সোনা-গয়না। পরিবারের দাবি, ডাকাতির প্রমাণ মুছে ফেলতেই ছোট্ট নিখিলকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
হুগলি: বাড়িতে একাই ছিল ৬ বছরের শিশু। মা কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। টিভি দেখছিল ছোট্ট নিখিল। মা যখন ফিরে আসেন, দেখেন ছেলের গায়ে কম্বল চাপা। ভেবেছিলেন ঘুমোচ্ছে। কিন্তু দিদি ফিরে এসে গায়ে হাতে দিতেই বোঝেন, শ্বাস পড়ছে না, হাত পা ঠান্ডা। চন্দননগরের ছ’বছরের এক শিশুর মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘটনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর মোড়।
পরিবারের দাবি, ডাকাত পড়েছিল বাড়িতে। আলমারি থেকে খোয়া গিয়েছে নগদ টাকা, সোনা-গয়না। পরিবারের দাবি, ডাকাতির প্রমাণ মুছে ফেলতেই ছোট্ট নিখিলকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
মৃত শিশুর বাবা নবকুমার বিশ্বাস পেশায় অপারেটর। মা গৃহবধূ। একমাত্র ছেলের ওই অবস্থা দেখে বুধবার কথা বলার মতো পরিস্থিতিতেই ছিলেন না তাঁরা। কোনও দিকেই খেয়াল করেননি। আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে ওঠার পর তাঁরা দেখেন, বাড়ির আলমারির চাবি ঝুলছে। প্রথমে বিষয়টি দেখতে পেরেছিলেন নবকুমারই। তিনি তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন, আলমারি তাঁরা কেউই খোলেননি। আলমারি খুলে নবকুমার দেখেন, লকারে চল্লিশ হাজার টাকা কিছু গয়না ছিল। সেগুলো কিছুই নেই। পুলিশে এই মর্মেই অভিযোগ জানিয়েছেন শিশুর বাবা।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে দেখেছে, ছ’বছরের নিখিলের গায়ে একটিও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কেবল দেহ কম্বল দিয়ে ঢাকা ছিল, দৃশ্যত যেন ঘুমোচ্ছিল। সেক্ষেত্রে শ্বাসরোধ করে খুনের সম্ভাবনাই দেখছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নিখিলের মা বললেন, “ভুল আমারই, আমি ঘরের হ্যাজবল্টটা বাইরে দিয়ে টেনে যায়নি। ফিরে এসে দেখি কম্বল মুড়ি দেওয়া ছিল। তারপর দেখে হাতপা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে।”