AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Court Case: সন্তানদের খুনের চেষ্টা, বাবাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল কোর্ট

Hooghly: এরপর ২০২৩ সালে ১৯ শে মে অশান্তি হওয়ার সময় নিজের বাড়িতে ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেন সন্দীপ বলে দাবি। দুই সন্তানকে গলায় ও বুকে ছুরি দিয়ে মারেন।জ্যোতির মা নাতিদের বাঁচাতে গেলে তাঁকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে সন্দীপ।H

Court Case: সন্তানদের খুনের চেষ্টা, বাবাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল কোর্ট
পণের জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 29, 2025 | 11:12 PM
Share

হুগলি: পণের জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার। দুধের শিশুদেরও রেয়াত করেনি বাবা। ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা। এই ঘটনায় দোষীকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিল কোর্ট। মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট এই সাজা ঘোষণা করে।

মগরা থানার বাঁশবেড়িয়ার গ্যাঞ্জেস জুটমিল এলাকার বাসিন্দা সন্দীপ পাশি। তার সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে হয় ওই এলাকারই জ্যোতি রাজভরের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন সন্দীপ। তাঁদের দুই ছেলে হয়। তাঁদের বয়স সাড়ে তিন ও এক বছর। স্ত্রীর উপর অত্যাচারের পাশাপাশি দুই সন্তানকেও মারধর করতেন তাদের বাবা বলে অভিযোগ। মাঝে মধ্যে মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে ছেলেদের নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যেতেন জ্যোতি।

এরপর ২০২৩ সালে ১৯ শে মে অশান্তি হওয়ার সময় নিজের বাড়িতে ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেন সন্দীপ বলে দাবি। দুই সন্তানকে গলায় ও বুকে ছুরি দিয়ে মারেন।জ্যোতির মা নাতিদের বাঁচাতে গেলে তাঁকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে সন্দীপ। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবেশীরা চারজনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। মগরা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এরপর সন্দীপের বিরুদ্ধে ৪৯৮,৩০৭,৩২৬ ধারায় মামলা রুজু হয়।

মামলার সরকারি আইনজীবী অমিয় সিংহরায় বলেন, “এই মামলায় দশ জন সাক্ষ্য দেন। হুগলি জেলে বন্দী সন্দীপ পাশি। সেখান থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকে সে। আজ আদালত তাকে দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়।”

জ্যোতির বাবা অলোক রাজভর বলেন, “আমরা আদালতের রায়ে খুশি। মেয়ে জামাই নিজেরাই দেখাশোনা করে বিয়ে করেছিল। আমরা অনুষ্ঠান করে বিয়ে দিয়েছিলাম।কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই পণের জন্য মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে। দু’টো নাতি কেও ছাড়ত না।”