AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR in Bengal: কাতারে কাজে গিয়েছে ছেলে, কিন্তু SIR এর তালিকা বলছে ‘মৃত’! হতবার বৃদ্ধ মা-বাবা

SIR in West Bengal: পরিবার সূত্রে খবর, দেবময় গত চার বছর ধরে কর্মসূত্রে থাকেন জামশেদপুরে। সঙ্গে থাকেন স্ত্রী মনিকা। বর্তমানে জামশেদপুরে তাঁর ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে। সেই তথ্য এসআইআরের নাম পূরণের সময় জানিয়েছিলেন দেবময়ের বাবা।

SIR in Bengal: কাতারে কাজে গিয়েছে ছেলে, কিন্তু SIR এর তালিকা বলছে ‘মৃত’! হতবার বৃদ্ধ মা-বাবা
হতবাক বৃদ্ধ মা-বাবাImage Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 17, 2025 | 4:19 PM
Share

চুঁচুড়া: একদিন আগেই সামনে এসেছে এসআইআর-এর খসড়া তালিকা। আর তা নিয়ে নানা প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে নানা অভিযোগ। কমিশন থেকে মৃতদের যে তালিকা সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে ডানকুনির তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে’র নাম। এ নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই দেখা যায় প্রতিবাদে শ্মশানে গিয়ে বসে ছিলেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। চুঁচুড়া বিধানসভার নলডাঙার ১২০ নম্বর বুথেও দেখা গেল কার্যত একই ছবি। এই এলাকাতেই থাকেন বৃদ্ধ দম্পতি স্নেহময় ও শিখা ভট্টাচার্যের ছেলে দেবময় ভট্টাচার্য। তিনি এখনও জীবিতই রয়েছেন। কিন্তু তাঁর নাম উঠেছে মৃতদের তালিকায়। তা দেখেই হতবাক ওই বৃদ্ধ দম্পতি।

পরিবার সূত্রে খবর, দেবময় গত চার বছর ধরে কর্মসূত্রে থাকেন জামশেদপুরে। সঙ্গে থাকেন স্ত্রী মনিকা। বর্তমানে জামশেদপুরে তাঁর ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে। সেই তথ্য এসআইআরের নাম পূরণের সময় জানিয়েছিলেন দেবময়ের বাবা। তিনি জানাচ্ছেন ছেলের জামশেদপুরের ভোটার কার্ডও দেখিয়েছিলেন বিএলও-কে। বিএলও-র সঙ্গে কথা বলেছিলেন দেবময় নিজেও। কিন্তু এখন খসড়া তালিকা বের হতেই দেখা যায় তাঁর নামের পাশে রয়েছে মৃত লেখা। 

ইতিমধ্যেই ঘটনার কথা কানে গিয়েছে বিএলও মলয় দত্তর। বিএলও জানাচ্ছেন, তিনি দেবময় ও তাঁর স্ত্রীর নাম যে অন্যত্র রয়েছে, অন্য জায়দায় তালিকাভুক্ত রয়েছে সে কথা স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন। কিন্তু কী করে তাঁর নাম মৃতের তালিকায় এল তা তিনি বুঝতে পারছেন না। যদিও তাঁর স্ত্রীর নামের পাশে লেখা ইতিমধ্যেই তালিকাভুক্ত। 

একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন দেবময়। কাজের সূত্রে বর্তমানে রয়েছেন কাতারে। ঘটনা জেনে সেখান থেকে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলছেন, এরা জীবিত মানুষকে যেভাবে মৃত বলে দিচ্ছে তাতে সত্য়িই কিছু বলার নেই। আমি আর আমার স্ত্রী তো বর্তমানে জামশেদপুরে থাকি, তাই নলডাঙা থেকে নাম কাটিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এখন যা হচ্ছে তা তো রীতিমতো মানসিক অত্যাচার।