Dilip Ghosh: ‘দোল খেললে পরিবেশ দূষণ হয়? উল্টো করে টাঙাব, প্রকাশ্যে জুতো মারা উচিত’, গর্জে উঠলেন দিলীপ
Dilip Ghosh: বিগত কয়েক বছর ধরে বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবে আম-আদমির প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর ধরে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াইয়ে বসন্ত উৎসব করছিলেন অনেকেই।

হুগলি: যাঁরা উৎসবে বাধা দেয় তাঁদের উল্টো করে ঝোলানো উচিত। ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ। দোলের দিনও তুমুল বিতর্ক বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। শুধু উল্টো করে ঝোলানোই নয়, প্রকাশ্যে জুতো মারার নিদানও দিলেন। এদিন হুগলির উত্তরপাড়ায় বিএ রোডে দোলযাত্রার উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াইয়ে বসন্ত উৎসবে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুর চড়ান দিলীপ।
দিলীপ বলেন, “উত্তর প্রদেশে তো একমাস ধরে হোলি চলে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও এই উৎসব চালু করেছিলেন। এখন খবরে দেখলাম বন বিভাগ বলেছে এখানে হোলি খেলা যাবে না। এত লোক খেললে নাকি দূষণ হবে। আমি জানি না কার মাথায় এটা এসেছে। এত বড় স্পর্ধা কে করেছে জানি না।” এরপরই হুঙ্কারের সুরে তিনি বলেন, “গোটা বীরভূমটা লুট হয়ে। বালি-পাথর-কয়লা লুট হয়ে গেল। কার মাথায় এটা এসেছে যে হোলি খেললে পরিবেশ নষ্ট হয়, দূষন হয় তাঁকে তো উল্টো করে টাঙানো উচিত। নয়তো আমি গিয়ে টাঙাব। এই ধরনের দুর্যোধনরা কলিযুগে আমাদের সংস্কৃতিকে অপবিত্র করছে। তাঁদের প্রকাশ্যে জুতো মারা উচিত।”
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরে বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবে আম-আদমির প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর ধরে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াইয়ে বসন্ত উৎসব করছিলেন অনেকেই। কিন্তু, এবার সেখানেই হোলিতে ‘না’ বলেছে প্রশাসন। বন দফতরের তরফে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বন দফতরের যুক্তি জঙ্গল এলাকায় প্রচুর মানুষের আনাগোনা ও রং খেলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গাছ। পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যক গাড়ি আসার ফলে পার্কিং করতে গিয়েও বন দফতরের জমি, গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে কারণেই সেখানে দোল খেলা যাবে না। এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে চাপানউতোর চলছে পর্যটকদের মধ্যে। এরইমধ্যে দিলীপের মন্তব্যে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
পাল্টা খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক অসিত মজুমদার বলেন, “দিলীপ ঘোষ বাংলার জোকার। যে বলে গরুর দুধে সোনা পাওয়া যায়। তাঁর মুখে এইসবই মানায়। সে বলবে নাতো কে বলবে!”





