
আরামবাগ: পরিবারের লোকজন বলছেন আচমকা শারীরিক অসুস্থতাতেই মৃত্যু। কিন্তু মানতে নারাজ এলাকার তৃণমূল নেতারা। ৭০ বছরের প্রৌঢ়ের মৃত্যুতেই ব্যাপক শোরগোল আরামবাগে। রাজনৈতিক মহলেও শুরু জোরদার তরজা। তৃণমূল বলছে, এসআইআর শুরু হতেই তাঁরা বৃদ্ধকে আতঙ্কিত হতে দেখেছে, অন্যদিকে বিজেপি বলছে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। আরামবাগের মোহনপুরের বাসিন্দা প্রভাত দত্ত (৭০)। এদিন সকালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বাড়ির লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রভাতবাবুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন।
ইতিমধ্যেই বৃদ্ধের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোটা পরিবারে শোকের ছায়া। খবর পেয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন নন্দী, দলের অন্যান্য কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে যান। স্বপন নন্দী বলছেন, “প্রভাত আমার ছোটবেলার স্কুলের বন্ধু। এসআইআরের ফর্ম পায়নি বলে বিএলও-র কাছে ক’দিন ঘোরাঘুরি করেছে। সব মিলিয়ে খুবই আতঙ্কে ছিল। চিন্তায় ছিল না।”
যদিও প্রভাতবাবুর বৌমা রিমা দেবী দত্ত বলছেন, “এসআইআর আতঙ্কের কিছু হয়নি। ওটা ভুয়ো খবর। ঘটনাটা আমাদের দোকানেই হয়। সেখানেই বসেছিলেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরই আমরা খবর পাই। আমরা ছুটে যাই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। স্ট্রোক হয়েছিল।”
এরইমধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসুধন বাগ। তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু বাড়ির লোক বলছেন ওনার ভোটার তালিকায় নাম আছে। এসআইআর আতঙ্কে তিনি মারা যাননি। তৃণমূল কংগ্রেস নোংরা রাজনীতি করছে।”