আরামবাগ: যাবতীয় জল্পনা, কানাঘুষোয় জল ঢেলে অবশেষে মুখ খুলেছেন দেব। জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাজনীতির ময়দানে থেকে গেলেন। আজ সরকারি পরিষেবা প্রদানের এক মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা গেল ঘাটালের সাংসদ দেবকে। আরামবাগে আজ মমতার সফরসঙ্গী তিনি। সেখানেও দেবের মুখে শোনা গেল ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কথা। সঙ্গে এও বললেন, তিনি দশ বছর ধরে কেন্দ্রকে বিশ্বাস করেছেন, এবার তিনি ‘দিদি’র উপর বিশ্বাস রাখলেন।
ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রসঙ্গে কথা বলার সময় আজ তৃণমূলের তারকা সাংসদ বললেন, ‘আমি দশ বছর কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশ্বাস করেছিলাম। ভেবেছিলাম, তারা সহযোগিতা করবে। কিন্তু তারা করেনি। এবারে আমি আমার বিশ্বাস দিদির উপর রাখলাম, আমাদের রাজ্য সরকারের উপর রাখলাম। আমার বিশ্বাস, ২০২৪ সালের পর রাজ্য সরকার সেটা দায়িত্ব নিয়ে পালন করবে। আমার বিশ্বাস, ঘাটালের দীর্ঘদিনের সমস্যা কাটাতে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের স্বপ্নটা আর স্বপ্ন থাকবে না, সেটা এবার সত্যি হতে চলেছে।’
দেবের রাজনীতির কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে জোর চর্চা হয়েছে। তবে আজ দেব নিজেই জানিয়ে দিলেন, ‘আমি পরিষ্কার কথা বলতেই ভালবাসি। আমি ঘাটালের মানুষের জন্যই আবার ফিরলাম। আমি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্যই আবার ফিরলাম ঘাটালে। আমি দশ বছর ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে লড়েছি, যাতে ওরা ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানে অনুমোদন দেয়। কিন্তু ওরা করেনি।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দেবের অনুরোধ, লোকসভা ভোটে ঘাটালে যেই জিতুক, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে যেন ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীও মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় বলেছেন, যে দেব তাঁকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কথা বলার পর তিনি ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান আমরা করছি। কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়পত্র দিচ্ছিল না বলে প্রকল্পগুলো করা যাচ্ছে না।’ ঘাটালের তারকা সাংসদ দেবের ‘আবদারের’ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের জন্য বসে না থেকে আমি নির্দেশ দিচ্ছি পরিকল্পনা তৈরি করে ৩-৪ বছরের মধ্যে করে ফেলতে হবে।’