RG Kar Protest: সরকারের নির্দেশিকার পরও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরকারি স্কুল
RG Kar: এ প্রসঙ্গে স্কুলের টিচার ইনচার্জ জানিয়েছেন, স্কুল ছুটির পরবর্তী পর মিছিল সংঘটিত করা হয়েছে। কোনও ছাত্র বাস শিক্ষককে জোর করে রাস্তায় নামাতে হয়নি। নিজেরাই পথে নেমেছেন। সুশান্ত রায় নামে এক শিক্ষক বলেন, "ছাত্ররা সমাজের সব থেকে স্পন্দনশীল অংশ। এই ঘটনাতেও একজন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা ও খুন করা হয়েছে। তাই ছাত্ররা পথে নেমেছে।"
হুগলি: স্কুলের পঠনপাঠনের সময় কোনও পড়ুয়া রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকতে পারবে না। বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর। তারপর দেখা গেল আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে পথে নেমেছেন পড়ুয়ারা। ঘটনাটি উত্তরপাড়ার। জানা যাচ্ছে, উত্তরপাড়া অমরেন্দ্র বয়েজ স্কুলের ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবকরা সকলে মিলে এ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে স্কুলের টিচার ইনচার্জ জানিয়েছেন, স্কুল ছুটির পরবর্তী পর মিছিল সংঘটিত করা হয়েছে। কোনও ছাত্র বাস শিক্ষককে জোর করে রাস্তায় নামাতে হয়নি। নিজেরাই পথে নেমেছেন। সুশান্ত রায় নামে এক শিক্ষক বলেন, “ছাত্ররা সমাজের সব থেকে স্পন্দনশীল অংশ। এই ঘটনাতেও একজন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা ও খুন করা হয়েছে। তাই ছাত্ররা পথে নেমেছে। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে মনে করি শিক্ষকরা সমাজের মেরুদন্ড। এই ঘটনায় রাস্তায় নেমে বিচার চাওয়া উচিত। তাই রাস্তায় নেমেছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার শিক্ষা দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। যে বিজ্ঞপ্তির প্রথম চার প্যারায় পড়ুয়াদের উপর কোনওরকম শারীরিক বা মানসিক শাস্তি নিয়ে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে চতুর্থ প্যারাগ্রাফে দেখা গিয়েছে লেখা,”স্কুল টাইমে পড়ুয়ারা কোনওভাবেই কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবে না।” তবে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে পথে নামছে স্কুল পড়ুয়ারা, তাই কি বকলমে এই নির্দেশ? প্রশ্ন শিক্ষামহলের। তবে এখানে আরজি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কি না সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় একটি বাক্য খরচ হয়নি।