Hooghly: ছাদ থাকলেও পাওয়া যায় আবাসের ঘর! দেখিয়ে দিলেন তৃণমূলের বন্দনা
Hooghly: যদিও এই হাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচুর মাটির বাড়ি আছে। বেশিরভাগ মাটির বাড়ির ভগ্নপ্রায় দশা। কিন্তু সেখানে বসবাসকারী মানুষের আবাসের তালিকায় নাম ওঠেনি, তাঁরা টাকাও পাননি।

হুগলি: পাকা বাড়ি রয়েছে, তা সত্ত্বেও অ্যাকাউন্টে আবাসের টাকা ঢুকেছে। এক তলা বাড়ির ছাদে হচ্ছে আবাসের ঘর। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য আরামবাগে। অভিযোগ আরও বড়, সবই হচ্ছে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগের বাড়ির কাছে। কাঠগড়ায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা।
গ্রামবাসীদেরই একাংশ বলছেন, আবাসের যোগ্য উপভোক্তারা বঞ্চিত হয়েছেন গোঘাটের হাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। তার ওপর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গোঘাটের হাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বন্দনা কুণ্ডু। অভিযোগ, একতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আবাসের টাকা। একতলা বাড়ির ছাদের ওপর দোতলা তৈরি করেছেন তিনি।
যদিও এই হাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচুর মাটির বাড়ি আছে। বেশিরভাগ মাটির বাড়ির ভগ্নপ্রায় দশা। কিন্তু সেখানে বসবাসকারী মানুষের আবাসের তালিকায় নাম ওঠেনি, তাঁরা টাকাও পাননি।
অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও, দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন তৃণমূল সদস্যা বন্দনা। তাঁর বক্তব্য, “হিসাব মতো আমার কোনও বাড়ি নেই। যেটুকু রয়েছে, আমার শ্বশুরমশাইয়ের রয়েছে। পঞ্চায়েত সার্ভে করে গিয়েছে, বিডিও সার্ভে করে গিয়েছেন, আমি পাওয়ার যোগ্য মনে করেই নিশ্চই তাঁরা আমাকে দিয়েছেন। দোতলাটা আমার, শ্বশুরের, দেওরের অংশ রয়েছে। আমাদের ননদও আছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আসলে ওরা তো নিজেদের স্বার্থটা আগে বুঝে নিচ্ছে। যারা পাওয়ার উপযুক্ত, তারা তো পাচ্ছে না। অফিসার কী সার্ভে করে গিয়েছেন বলতে পারব না, পাকা বাড়ি যেহেতু রয়েছে, পাওয়ার যোগ্য নন তিনি।”
বিজেপি নেত্রী দোলন দাস বলেন, “সাংসদের নিজের এলাকায় সাধারণ গরিব মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন না, সাংসদ কী করছেন?”
যদিও সাংসদ মিতালি বাগের বক্তব্য, “আমি অবশ্যই পঞ্চায়েত, গোঘাট ২ নম্বর ব্লক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব। দ্রুত যাতে তদন্ত করে দেখা যায়, সেটা দেখছি। পঞ্চায়েত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব।”





