Hooghly: পুকুর থেকে উদ্ধার হয় ৩ বছরের নাতনির নিথর শরীর, সৎকার্যও সম্পন্ন! ঠাকুমার সন্দেহে কবর থেকে তোলা হল দেহ
Hooghly: দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হল মৃতদেহ। রবিবার হুগলির ত্রিবেণী শ্মশানঘাট থেকে শিশুকন্যার দেহ মাটি খুঁড়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

হুগলি: কালনার তিন বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছিল জলে ডুবে, মাটিতে পুঁতে দেহ সৎকার করা হয়েছিল ত্রিবেণী শ্মশানঘাটে। মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হওয়ার শিশুর ঠাকুমা অভিযোগ করেছিলেন থানায়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটি থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল।
দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হল মৃতদেহ। রবিবার হুগলির ত্রিবেণী শ্মশানঘাট থেকে শিশুকন্যার দেহ মাটি খুঁড়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২৬ এপ্রিল কালনার হাটগাছার বাসিন্দা ওই শিশুকন্যার মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ির কাছের পুকুর থেকে। কালনা হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত হওয়ার পরে ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে দেহ মাটিতে পোঁতা হয়। কিন্তু পরে পরিবারের মধ্যে সন্দেহের দানা বাঁধে।
নাতনিকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে সন্দেহ হয় ঠাকুমার। গত ৬ জুন কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিশুর ঠাকুমা শিখা ঘোষাল। পুলিশ মামলা রুজু করে আদালতের দ্বারস্থ হয়। ১৬ তারিখ আদালত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। সেই মতো রবিবার ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে মাটি থেকে শিশুর দেহ তুলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শিশুর বাবা সুরজিৎ ঘোষাল বলেন, “জলে ডুবে মৃত্যু হলে দেহে যে ধরনের পরিবর্তন হয়, সেটা দেখা যায়নি। মেয়ে খেলতে পাশের বাড়ি চলে যেত। ওকে ডেকে খু্ঁজে আনতে হত। ময়নাতদন্তে যদি দেখা যায়, কোনও ফাউল নেই। তাহলে কারোর বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। কিন্তু আমার কোথাও সন্দেহ আছে।”

