Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: তৈরির ৪ ঘণ্টার মধ্যে ফাটল ৪৭ লাখি রাস্তার! প্রশাসন যা বলল…

Hooghly: হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জিটি রোড ঝাঁপপুকুর থেকে সাহাগঞ্জ যাওয়ার দু'কিমি রাস্তা বেহাল দশা ছিল প্রায় আট দশ বছর ধরে। রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়ে জিটিরোড অবরোধ করেছিলেন এলাকাবাসীরা। বিক্ষোভ হয় বার বার।

Hooghly: তৈরির ৪ ঘণ্টার মধ্যে ফাটল ৪৭ লাখি রাস্তার! প্রশাসন যা বলল...
তৈরি চার ঘণ্টার মধ্যেই রাস্তায় ফাটলImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2025 | 5:24 PM

হুগলি: ৪৭ লক্ষ টাকার ঢালাই রাস্তা তৈরির পরই ফাটল। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার ঘটনা। প্রায় আট দশ বছর ধরে এলাকাবাসীর দাবি ছিল বেহাল রাস্তা মেরামত করা হোক।সেই মত ঢালাই রাস্তা হওয়া মাত্রই ফাটল ধরল নতুন রাস্তায়। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ এলাকাবাসীর।

হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জিটি রোড ঝাঁপপুকুর থেকে সাহাগঞ্জ যাওয়ার দু’কিমি রাস্তা বেহাল দশা ছিল প্রায় আট দশ বছর ধরে। রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়ে জিটিরোড অবরোধ করেছিলেন এলাকাবাসীরা। বিক্ষোভ হয় বার বার।পুরসভা প্রশাসনের আধিকারিকরা গিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন,  টাকা এলেই রাস্তা হবে।

গত এক সপ্তাহ ধরে নতুন ঢালাই রাস্তা তৈরি শুরু হয়।এক কিমি রাস্তা ঢালাই হয়। সেই নতুন রাস্তা তৈরির চার পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই ফাটল দেখা দেয় বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে তার ফলেই এই ফাটল।

এলাকার বাসিন্দা রাধেশ্যাম শঙ্খ বণিক জানান, দীর্ঘদিন রাস্তার বেহাল দশা। রত্না দে নাগ যখন সাংসদ ছিলেন, তখন তিনি দেখে গিয়েছিলেন রাস্তার দশা। তারপর থেকে আর রাস্তা সারাই হয়নি বলে এলাকাবাসীর দাবি। এরপর এখানের প্রত্যেকটি ক্লাব সদস্যরা মিলে জিটি রোড অবরোধ করা হয় রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে। বহু মানুষ রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় পড়ে গিয়ে হাত পা ভেঙেছে। বহুবার পুরপ্রধানকে বলেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।

এলাকার বাসিন্দা দীপু ভৌমিক বলেন,  “রাস্তার জন্য অনেক লড়াই করা হয়েছে। তারপর এসডিও ম্যাডাম কে জানানো হয়। তিনি বলেছিলেন রাস্তা ভালো করে হবে। তার পরিণাম যে এটা হবে জানা ছিল না। বিষয়টা কন্ট্রাক্টরকে অনেক বার বলেছি কিন্তু তারা কেও কথা শোনেনি।”

এ বিষয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন,  “বিষয়টা জানা ছিল না, এখন জানলাম। খারাপ রাস্তা যদি হয় সেটা দুঃখের। আমি পি.ডাবলু.ডি সিআইসি সৌমিত্র ঘোষকে বলব বিষয়টি তদন্ত করতে। রাস্তার নমুনা কোয়ালিটি কন্ট্রোল বোর্ডে পাঠানো হবে। আমি আজকেই ব্যবস্থা নেব। সরকারি টাকা নয় ছয় করার অধিকার কেউ কাউকে দেয়নি।”