Hooghly: নাসিক নির্ভরতা কমবে, পেঁয়াজ সংরক্ষণে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের
Hooghly Onion: রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে এবার পেঁয়াজ গোলা তৈরি করা হবে। হুগলি সার্কিট হাউসে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক তরুণ ভট্টাচার্য, সভাধিপতি রঞ্জন ধারা,জেলা কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মদন মোহন কোলে ও কৃষি দফতরের আধিকারিকরা।

হুগলি: ভর্তুকি দেবে সরকার, সংরক্ষণের বিশেষ উদ্যোগ। নাসিকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বাংলায় পেঁয়াজ চাষিদের জন্য বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। রাজ্যে তৈরি হবে ৭৭৫ টি পেঁয়াজ গোলা। জানালেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। সংরক্ষণ করা যেত না বলে পেঁয়াজ বিক্রিতে বাধ্য হন কৃষক। জমি থেকে পেঁয়াজ তুলেই তা বিক্রি করে দেওয়ায় ভালো দাম থেকে বঞ্চিত হন চাষিরা। এতে সারা বছর পেঁয়াজের যোগানেও সমস্যা তৈরি হয়। ভিন রাজ্য বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের নাসিকের উপর নির্ভর করতে হয়।ফলে ক্রেতাকেও অনেক সময় বেশি দামে বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনতে হয়।
অনেক দিন ধরেই ভাবনা ছিল, আলুর মত পেঁয়াজ যদি সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে এই সমস্যাগুলো দূর হতে পারে। কৃষি বিজ্ঞানীরাও চেষ্টা করছিলেন কী করে সংরক্ষণ করা যায়। কারণ আলুর মত হিমঘরে পেঁয়াজ রাখা যায় না। হুগলির বলগড়ে খুব ভাল সুখসাগর প্রজাতির পেঁয়াজ চাষ হয়। পরীক্ষামূলকভাবে হুগলির বলাগড়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ঘর করা হয়। তবে তা খুব একটা কার্যকরি হয়নি।
রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে এবার পেঁয়াজ গোলা তৈরি করা হবে। হুগলি সার্কিট হাউসে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক তরুণ ভট্টাচার্য, সভাধিপতি রঞ্জন ধারা,জেলা কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মদন মোহন কোলে ও কৃষি দফতরের আধিকারিকরা।
পেঁয়াজ গোলার জন্য হুগলিতে অন লাইনে ৩৫২ জন আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে লটারি করে ১৭৫ জনকে বেছে নেওয়া হয়। মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “প্রত্যেকেই ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে সরকারি ভর্তুকি পাবেন। এতে করে নাসিক মহারাষ্ট্রের উপর যে নির্ভরতা সেটা কাটবে। অসময়ে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতাও কমবে। দেখা যায় হঠাৎ করেই ১০০ টাকা কেজি পিয়াজ হয়ে যায় সেটা আর হবে না। এতে চাষিরা উৎসাহ পাবে।আমরা সরকারের তরফে সব রকমের সহযোগিতা কৃষকদের করছি।” তিনি জানিয়েছেন, ১০ টি পেঁয়াজ উৎপাদক জেলায় ৭৭৫ টি পেঁয়াজ গোলা তৈরি করা হবে।তার মধ্যে হুগলি জেলাতেই রয়েছে ১৭৫টি।
