Hooghly Erosion: গঙ্গার পলি সরানো হয় না, ভাঙছে শ্রীরামপুরের পাড়, এলাকা ঘুরে দেখলেন বিজেপি বিধায়ক
Hooghly Erosion: শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা বলেন, "শ্রীরামপুর সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সুদীপ্ত রায় ধসের জায়গা মেরামতের জন্য মানস ভুঁইঞাকে বলেছিলেন। রাজ্য সেচ দফতরের পক্ষ থেকে ধসে যাওয়া রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।"

হুগলি: গঙ্গার পলি সরানো হয় না,ভাঙছে শ্রীরামপুরের পাড়! হুগলির শ্রীরামপুর পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাহেশ নেহেরু নগর কলোনি এলাকার গঙ্গার পাড়ে রাস্তায় ধস নামে কয়েকদিন আগে। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয় বিজেপি- তৃণমূলে। বিজেপি সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও রাস্তাটি ঘুরে দেখেন।তিনি বলেন, “এলাকার জনপ্রতিনিধি সাংসদ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে আবেদন করতে পারেন। যার এলাকায় এই ধরনের ধসে ক্ষতি হচ্ছে, তিনি এলাকার মানুষের কথা ভেবে এটা করতেই পারেন।” কেন্দ্র জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীকে গিয়ে শ্রীরামপুরের কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা বলেন, “শ্রীরামপুর সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সুদীপ্ত রায় ধসের জায়গা মেরামতের জন্য মানস ভুঁইঞাকে বলেছিলেন। রাজ্য সেচ দফতরের পক্ষ থেকে ধসে যাওয়া রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।”
তিনি জানিয়েছেন, নেহেরু নগর না শ্রীরামপুর পৌর এলাকার গঙ্গার পাড় বরাবর ধসের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পোর্ট ট্রাস্টকে একাধিকবার বলা হয়েছে ব্যবস্থা নিতে। কোনও কাজ হয়নি।
সপ্তাহ দুয়েক আগেই এই ভাঙন শুরু হয়। বলাগড়ের মতো না হলেও শ্রীরামপুর শহরে গঙ্গার ভাঙন নিয়ে বরাবরই আশঙ্কা ছিল। সিদ্ধেশ্বরীতলা থেকে মাহেশ পর্যন্ত বিস্তৃত গঙ্গার ধারে বহু জায়গায় ভাঙনের চিহ্ন ধরা পড়েছিল আগেই। চলতি বছরে অতি বৃষ্টির জেরে সেই আশঙ্কা বেড়ে যায়। শ্রীরামপুরের নেহেরুনগর কলোনিতে ভয়াবহ চিত্র। কয়েকদিন ধরেই গঙ্গার ধারে চাপ বাড়ছিল। অবশেষে গঙ্গার ধারের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তায় বড় ফাটল ধরে যায়। ফাটল এতটাই ধরেছে যে রাস্তার বড় অংশ বসে গিয়েছে গঙ্গার দিকে। আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
