Hooghly: ‘৪৮ ঘণ্টায় কোয়ার্টার খালি করুন, না হলেই…’, একটা নোটিস নিয়ে প্রহর গুনছে রেল কোয়ার্টারে
Hooghly: কোয়ার্টারের বাসিন্দাদের উদ্দেশে নোটিস দেওয়া হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রেল কোয়ার্টারে বসবাসকারীরা কোয়ার্টার খালি করতে হবে। না হলে রেল কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নোটিসের নীচে লেখা রয়েছে 'আদেশ অনুসারে পূর্ব রেলওয়ে হাওড়া'।

হুগলি: ব্যান্ডেল আমবাগানে রেল কোয়ার্টারে উচ্ছেদের নোটিশ বিতর্ক। বিধায়কের নেতৃত্বে আন্দোলনে তৃণমূল। উল্লেখ্য, ব্যান্ডেল স্টেশনের কাছে আমবাগান এলাকায় রয়েছে রেলের কোয়ার্টার।সেখানে বসবাস করে অনেক পরিবার। সম্প্রতি একটি নোটিস ঘিরে ছড়ায় চাঞ্চল্য। কোয়ার্টারের বাসিন্দাদের উদ্দেশে নোটিস দেওয়া হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রেল কোয়ার্টারে বসবাসকারীরা কোয়ার্টার খালি করতে হবে। না হলে রেল কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নোটিসের নীচে লেখা রয়েছে ‘আদেশ অনুসারে পূর্ব রেলওয়ে হাওড়া’।
সেই নোটিসের বিরোধিতা করে সোমবার আমবাগানে সভা করে তৃণমূল।পরে মিছিল করে ইন্সপেক্টর অফ ওয়ার্কসের অফিসে যান আন্দোলনকারীরা। বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “পুনর্বাসন ছাড়া কোন রকম উচ্ছেদ করা যাবে না। রেল কোয়ার্টারে যারা বসবাস করছেন কেউ ত্রিশ চল্লিশ বছর ধরে রয়েছেন। অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের দাদু বাবা রেলে চাকরি করতেন। এখন তাঁদের উচ্ছেদ করলে কোথায় যাবে।ব্যান্ডেলে রেলের অনেক জায়গা আছে। এখানে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় হয়েছে আমরা সাহায্য করেছি। রেল গাজোয়ারি যদি করে তার উত্তর গাজোয়ারিতেই হবে।”
বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “রেল তার জায়গা তো নেবেই। রাজ্য সরকারের জায়গা তো নিতে যাচ্ছে না। রাজ্য সরকারি জায়গাগুলো দখল করে তৃণমূলের পার্টি অফিস হয়েছে। সেখানে ওই মানুষদের থাকতে থাকতে দিন না বিধায়ক।”
কোয়াটারের বাসিন্দা কৃষ্ণা মণ্ডল বলেন, “আমি পরিচারিকার কাজ করি। বাইরে ভাড়া থাকতে গেলে ৫০০০ টাকা লাগবে। কোথায় পাব এত টাকা? রেলের লোকেরা এসে বলছে কোয়াটার ছেড়ে দিতে। না হলে গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে। খুব ভয়ে ভয়ে থাকি।”
কোয়াটারে আরেক বাসিন্দা শুভেন্দু মন্ডল বলেন, “আমি বেশি দিন আসেনি।স্থানীয় একটি ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমি কোয়ার্টারে বসবাস করছি। আমি রেলে চাকরি করি না। যে নোটিসটা দেওয়া হয়েছে, সেটা রেল থেকে দিয়েছে না ঠিকাদার দিয়েছে আমরা বুঝতে পারছি না।”





