Hooghly: এখনও পর্যন্ত ৬ জনের বাতিল হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, জানালেন শিক্ষা সংসদের সভাপতি
Hooghly: সভাপতি জানিয়েছেন, রাজ্যের একাধিক পরীক্ষা কেন্দ্র তিনি ঘুরেছেন, সর্বত্রই পরীক্ষা ভাল হয়েছে। নবম দিনে হুগলিতে এসেছেন। হুগলিতে পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।

হুগলি: এখনও পর্যন্ত ছ’জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, মোবাইল ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষা হলে ঢোকা আটকাতে এবারই প্রথম মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবহার হয় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হবে মে মাসে। জানালেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
উত্তরপাড়া থেকে চন্দননগর পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা সংসদের সম্পাদক প্রিয়দর্শিনী মল্লিক এবং জেলা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শুভেন্দু গড়াই।
বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা ছিল। উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাই স্কুল, কোন্নগর হাই স্কুল, শ্রীরামপুর আখনা গার্লস হাই স্কুল,ভদ্রেশ্বর ধর্মতলা গার্লস হাই স্কুল পরিদর্শন করে শেষে চন্দননগরের কৃষ্ণ ভাবিনী নারীশিক্ষা মন্দিরে পরীক্ষা কেমন হচ্ছে ঘুরে দেখেন।
সভাপতি জানিয়েছেন, রাজ্যের একাধিক পরীক্ষা কেন্দ্র তিনি ঘুরেছেন, সর্বত্রই পরীক্ষা ভাল হয়েছে। নবম দিনে হুগলিতে এসেছেন। হুগলিতে পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। হুগলিতে আহ্বায়ক এবং পরীক্ষা সম্পর্কিত যে টিম ভাল কাজ করেছেন। সব জায়গাতেই সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা হচ্ছে। ক্লাস রুমে ঢুকে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।
এবছর পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা এবারই প্রথম। মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতর মোবাইল ফোন ব্যবহার করার প্রবণতা কমিয়ে শূন্যতে কিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। মেটাল ডিটেক্টর থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা কেন্দ্রে কয়েকটি মোবাইল ধরা পড়েছে। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার কারণে ৬ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষায় মোবাইলের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স। এটা অবশ্যই একটা বড় সাফল্য।
এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে, কারণ ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম ছিল। মাধ্যমিক উত্তীর্ণের সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার। রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল সারে ৫ লক্ষ। এনরোলমেন্ট হয়েছিল ৫ লক্ষ ৯ হাজার। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার অনেকগুলি কারণ ছিল। প্রথমত হল ২০১৭ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সময় পড়ুয়াদের একটা বয়স এডজাসমেন্ট করা হয়েছিল।সেই সময় অনেকেই তখন বাদ পড়েছিল। তাছাড়া পোস্ট কোভিডের একটা এফেক্ট কাজ করেছে।
প্রিয়দর্শিনী মল্লিক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের প্রগতিশীল চিন্তা ভাবনা, পলিসি এবং নানান রকমের স্কিম এবং প্রশাসনের সহযোগিতা ইত্যাদি নারী পরীক্ষার্থী বেশি হওয়ার একটা কারণ। একইসঙ্গে কন্যাশ্রীর একটা বড় প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের একাধিক প্রকল্প নারী শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে যথেষ্টই কার্যকরী হয়েছে।





