হুগলি: হুমায়ুন কবীরের পর এবার শুভেন্দু অধিকারীকে বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূল সাংসাদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কটাক্ষের সুরেই বললেন, “যারা রাজনীতিতে এসে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে তাঁরা কখনও নেতা হতে পারে না। শুভেন্দুকে দিল্লির অনেক বিজেপির নেতাই পছন্দ করছে না। নন্দীগ্রামে ওকে হারিয়ে ছাড়ব। বিধায়ক হিসেবে ওর মেয়াদ আর এক বছর। তারপর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে।”
প্রসঙ্গত, এদিন নিজের সংসদীয় ক্ষেত্র অর্থাৎ শ্রীরামপুরে একটি বসন্ত উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন কল্যাণ। সেখান থেকেই শুভেন্দুকে চাঁচাছালো আক্রমণ করে বসেন। খোঁচা দিয়েই বলেন, “হাইকোর্টের আশীর্বাদ আছে বলে শুভেন্দু অধিকারী ঘুরে বেড়াচ্ছে আর বড় বড় কথা বলছে। নাহলে ওর এতদিন জেলে থাকার দরকার ছিল।” এরপরই একেবারে চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, “এবার নন্দীগ্রামে ওকে হারিয়ে ছাড়ব। বিধায়ক হিসাবে ও আর এক বছর আছে। তারপর ও রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে।”
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই শুভেন্দুকে একহাত নিয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনিও কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন, “নির্বাচনের কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী একজন প্রার্থী দু’ জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। তাহলে উনি ভাবনীপুরেও লড়ুন। ওখানে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হারবেন। আর আমার ভরতপুর বিধানসভায় হিন্দু আর মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাত ৫০-৫০। ওনার হিম্মত থাকলে ওখানেও লড়ুন। আমি আহ্বান করছি ওনাকে। ওকে যদি ৩০ হাজার ভোটে না হারাতে পারি তাহলে আমি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নেব।”