Man Burn to Death In Rishra: কম্বল চাপা দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন, অনুভূত হচ্ছিল গরম ভাব! বদ্ধ ঘরে জ্বলেই মৃত্যু যুবকের
Burn To Death In Rishra: কিন্তু আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। দীনেশ তখন তাঁর ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। কিন্তু এতটাই ঘুম গাঢ় ছিল, প্রথমটায় বুঝতে পারেননি কিছুই।
হুগলি: শীতের সন্ধ্যায় কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। কখন যে জ্বলে উঠেছে বাড়ির একাংশ, টেরও পাননি। গরম অনুভূত হওয়ায় ঘুম হয়েছিল আরও গাঢ়। পড়শিদের চিত্কারেও ভাঙেনি ঘুম। যখন টের পেলেন, তখন হয়ে গিয়েছে অনেকটা দেরি। অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে ছিলেন তিনি। বেরিয়ে আসতে আর পারেননি। নিজের বাড়িতেই দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মর্মান্তিক ঘটনা রিষড়ার গুমো ডাঙা গ্রামে। মৃতের নাম দীনেশ হাজরা (৩৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় দীনেশের বাড়িতে আগুন ধরে যায়। বাইরে থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা চিত্কার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। কিন্তু দীনেশ যে তখনও বাড়ির ভিতরে ঘুমোচ্ছেন, তা তাঁরা বুঝতেও পারেননি। প্রথমে স্থানীয়রাই বালতি করে জল এনে দিতে থাকেন। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল।
কিন্তু আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। দীনেশ তখন তাঁর ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। কিন্তু এতটাই ঘুম গাঢ় ছিল, প্রথমটায় বুঝতে পারেননি কিছুই। পরে যখন তিনি বুঝতে পারেন, ঘর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু গোটা বাড়িটাই তখন আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডানকুনি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিনও। প্রাথমিকভাবে দমকলকর্মীরা মনে করছিলেন শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লেগেছে। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে বিদ্যুতের বিল বাকি ছিল। তাই কয়েকদিন আগেই ইলেকট্রিক লাইন কেটে দিয়ে গিয়েছেন দফতরের কর্মীরা। এরপর শর্ট সার্কিট কীভাবে হল, তা নিয়েই ধোঁয়াশায় পরিবার।
প্রশ্ন উঠছে, আদৌ দীনেশ নিজেই বাড়িতে আগুন লাগাননি তো! দীনেশের কোনও মানসিক অবসাদ ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমরা তখন বসে ভাত খাচ্ছিলাম। আচমকাই ঘর দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল। ও ঘর থেকে বের হতে পারল না। অনেক চেষ্টা করেছি আমরা সবাই। ও নিজেও অনেক ছোটাছুটি করেছে। কিন্তু গোটা ঘর জ্বলে গিয়েছিল। বেরনোর কোনও উপায় ছিল না। ঘর থেকে বের হতেই পারল না ও।”
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আচমকাই দেখি ধোঁয়া বের হচ্ছে খুব। নিমেশে গোটা বাড়িটা দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল। আমরা ছোটাছুটি করে জল দিচ্ছিলাম বাইরে থেকে। একটা ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘুমোচ্ছিল দীনেশ। ও আর বের হতে পারেনি। দরজা, জানলা পুরো দাউ দাউ করে জ্বলছিল।”
ঘটনার পর এলাকা পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘দল আমাকে তাড়াতে পারে, নগন্য কার্যকর্তা আমি তিস্তার সঙ্গে আছি,’ ফের বিস্ফোরক সাংসদ রূপা