Hooghly: হারিয়ে গিয়েছিলেন দোলে, মিসিং ডায়েরিও হয়েছিল থানায়, শেষে কপাল জোরে এই যন্ত্রই ঘরে ফেরাল বৃদ্ধকে

Hooghly: শনিবার হাসপাতাল থেকে বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয় রাজেশ্বর সাহানিকে। বৃদ্ধকে ফিরে স্বভাবতই খুশি তাঁর গোটা পরিবার। হাসি ছেলের মুখে।

Hooghly: হারিয়ে গিয়েছিলেন দোলে, মিসিং ডায়েরিও হয়েছিল থানায়, শেষে কপাল জোরে এই যন্ত্রই ঘরে ফেরাল বৃদ্ধকে
বৃদ্ধকে ফিরে পেয়ে খুশি তাঁর পরিবার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2023 | 7:14 AM

কোন্নগর: আড়াই মাস আগে পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন, ঠাঁই হয়েছিল শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে। খোঁজ মিলছিল না পরিবারের। অবশেষে হ্যাম রেডিয়োর (Ham Radio) সাহায্যে পরিবার ফিরে পেলেন বৃদ্ধ। তাঁর পরিবার বর্তমানে কোন্নগরে (Konnagar) থাকলেও আসল বাড়ি বিহারে। নাম রাজেশ্বর সাহানি। সূত্রের খবর, মার্চ মাসে দোলের দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই বৃদ্ধ। খোঁজ চলছিল। কিন্তু, কোথাও তাঁর দেখা না পেয়ে শেষে উত্তরপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে রাজেশ্বরের পরিবারের। অন্যদিকে ওই সময়েই আবার ডানকুনি থানা এলাকায় একটি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এক বৃদ্ধ আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। ভর্তি শ্রীরামপুর হাসপাতালে। আর পাঁচটা খবরের ভিড়ে চাপা পড়েছিল এই খবরটাও। কিন্তু, তখন সাহানি পরিবার জানে না এ তাঁদেরই বাড়ির লোক। 

এদিকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে যে বৃদ্ধ ভর্তি ছিলেন তাঁর কোনও বাড়ির খোঁজ পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁর কাছ থেকে বিহারের একটি অসম্পূর্ণ ঠিকানা পাওয়া যায়। তখনই ঠিক হয় বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পেতে সাহায্য নেওয়া হবে হ্যাম রেডিওর। হাসপাতালে ভর্তি থাকা বৃদ্ধের কথা জানানো হয় ডানকুনি থানাতেও। এদিকে ততক্ষণে খোঁজ শুরু করে দিয়েছে হ্যাম রেডিয়ো। খোঁজ মেলে তাঁর বিহারের বাড়ির। তবে এরপর জানা যায় ১৫ বছর আগে বিহার থেকে বাংলায় চলে এসেছে বৃদ্ধের পরিবার। খোঁজ পাওয়া যায় তাঁর এক আত্মীয়ের।

ওই আত্মীয়ের হাত ধরেই বৃদ্ধের ছেলের নম্বর মেলে। ছেলেকে ফোন করতেই সবটা জানা যায়। শনিবার হাসপাতাল থেকে বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয় রাজেশ্বর সাহানিকে। বৃদ্ধকে ফিরে পেয়ে স্বভাবতই খুশি তার পরিবার। খুশি বৃদ্ধও। বৃদ্ধের ছেলে মহেশ সাহানি বলেন, “এর আগেও বাবা একবার নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তখন বিহার চলে গিয়েছিল। বিহারের বালিয়া থেকে আমরা উদ্ধার করেছিলাম। এবার নিখোঁজ হওয়ার পর উত্তরপাড়া থানায় ডায়েরি করি। কিন্তু, দীর্ঘদিন কোনও খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে বাড়ির কাছেই শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল থেকে তাঁর খোঁজ মিলল।”