Hooghly: প্রয়াগ থেকে শিক্ষা নিয়ে নাগা সন্ন্যাসীদের বিশেষ ব্যবস্থা, কী কী হচ্ছে ত্রিবেণী-কুম্ভে
Hooghly: তিনটি ঘাটে কুম্ভ স্নান হবে। পূর্ত দফতর ও সেচ দফতর কাজ শুরু করেছে। স্পিডবোটে চলবে নজরদারি। ঘাটগুলো নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।

হুগলি: রিফিউজি ক্যাম্পের কোয়ার্টারে নাগা সাধুরা থাকবেন না। তাঁদের জন্য আলাদা তাঁবুর ব্যবস্থা করতে হবে। কুম্ভমেলার জায়গা পরিদর্শন করে জানিয়ে দিলেন মহকুমা শাসক। প্রয়াগের অবস্থা দেখে এই সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। গতকাল, বুধবার ভূমিপুজো করে ত্রিবেণী কুম্ভমেলার কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। কুম্ভমেলাকে ঘিরে প্রশাসনিক তৎপরতাও তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া সদরের মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা সহ একাধিক আধিকারিক এলাকা পরিদর্শন করেন।
হুগলি গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার পুরপ্রধান, উপপুরপ্রধান কুম্ভ ঘাট ও মেলার জায়গা পরিদর্শন করেন। প্রয়াগের দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে এবার ত্রিবেণী কুম্ভমেলায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।
রাজা ঘাটের পাশে রয়েছে দেশভাগের সময় তৈরি করা উদ্বাস্তুদের জন্য ক্যাম্প। সেখানে থাকার জায়গাগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। চাল ভেঙে পড়ছে, দেওয়ালের অবস্থাও ভাল না। গত বছর এই ক্যাম্পেই ছিলেন নাগা সন্ন্যাসীরা। হোম, যজ্ঞও হয়েছিল এই ক্যাম্পে। তা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর পুন্যার্থী। এবার যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা না ঘটে, সেই কারণে ওই ক্যাম্পে সাধুদের থাকার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সাধুদের জন্য আলাদা তাঁবুর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে মেলা কমিটিকে।
মহকুমা শাসক জানান, এদিন জয়েন্ট ভিজিট করা হয়েছে। ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি কুম্ভমেলা হবে ত্রিবেণীতে। সেখানে যাবেন প্রচুর মানুষ। তাই পুরো এলাকা পরিদর্শন করে বিষয়টা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কোথা দিয়ে লোক বেশি যাবে, কোন ঘাটে স্নান করতে নামবে, কোথায় ড্রপ গেট হবে, কোথা দিয়ে গাড়ি ঢুকবে সমস্ত কিছুই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনটি ঘাটে কুম্ভ স্নান হবে। পূর্ত দফতর ও সেচ দফতর কাজ শুরু করেছে। স্পিডবোটে চলবে নজরদারি। ঘাটগুলো নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।
ত্রিবেণী কুম্ভ মেলা কমিটির আহ্বায়ক অভিনব বসু বলেন, “গতকাল আমাদের একটা মিটিং হয়েছিল মহকুমা শাসকের দফতরে। প্রশাসনের তরফ থেকে আমাদের সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।”





