Chinsura: কারও কেটে নেওয়া হয়েছে কান-লেজ-চোখ, চন্দননগরে পথ কুকুরদের সঙ্গে মর্মান্তিক ঘটনা
জানা গিয়েছে, ময়নাডাঙার চিকিৎসক দম্পতি পি কে ঘোষ ও রীনা ঘোষের বাড়িতে বেশ কয়েকটি পথ কুকুর আশ্রয় নিয়েছে। তাদের থাকা থেকে শুরু করে খাবারের বন্দ্যোবস্ত করেছে চিকিৎসক দম্পতি। কালী পুজোয় শব্দ বাজির তাণ্ডবে এমনিতেই ভয়ে বাড়ি থেকে বেরতে চায়নি কুকুরগুলো।

চুঁচুড়া: অমানবিক বললেও কম বলা হয়! পথ কুকুরদের উপর পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে চুঁচুড়া ময়নাডাঙা এলাকায়। সেখানে কান কেটে নেওয়া,লেজ কেটে নেওয়া,চোখে আঘাত করা এমনকী যৌনাঙ্গ কেটে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে।
জানা গিয়েছে, ময়নাডাঙার চিকিৎসক দম্পতি পি কে ঘোষ ও রীনা ঘোষের বাড়িতে বেশ কয়েকটি পথ কুকুর আশ্রয় নিয়েছে। তাদের থাকা থেকে শুরু করে খাবারের বন্দ্যোবস্ত করেছে চিকিৎসক দম্পতি। কালী পুজোয় শব্দ বাজির তাণ্ডবে এমনিতেই ভয়ে বাড়ি থেকে বেরতে চায়নি কুকুরগুলো।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পি কে ঘোষ বলেন,”দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়িতে কুকুর আছে। আমি যেখানে-যেখানে চেম্বার করি সেখানেও অনেক কুকুর থাকে। এবং কুকুরগুলির জন্য আমি খাবার নিয়ে যাই। রাস্তার কুকুর হলেও তারা আমাদের বাড়িতে থাকে।গতকাল দেখলাম কুকুর গুলোর উপর অত্যাচার হয়েছে। অবলা জীব তাদের উপর কে বা কারা এমন করল জানি না। তবে মানুষ এমন করতে পারে না।”
পথ কুকুর বিড়ালদের নিয়ে কাজ করা চন্দননগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঞ্চিতা পাল বলেন,”আমরা মূলত রাস্তার অসুস্থ অত কুকুরদের নিয়ে কাজ করি। আমি খবর পেলাম চুঁচুড়ার ময়নাডাঙায় এলাকার পাঁচটি কুকুরের উপর অমানুষিক অত্যাচার হয়েছে। কান,লেজ,কেটে নেওয়া হয়েছে। চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রইভেট পার্ট কেটে দেওয়া হয়েছে। মানুষের কী হয়েছে জানি না। দিনের পর দিন এই অবলা জীব গুলোর উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগে চন্দননগর লালবাগান এলাকায় একটি বাচ্চা কুকুরকে চোখের মধ্যে অ্যাসিড দিয়ে দেয়। পরে জানা যায় পাড়ারই একজন এই জঘন্য কাজটি করেছে। আমরা মানুষকে সচেতন করছি। তাও পশুদের উপর অত্যাচার বেড়ে চলেছে। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। অসুস্থ কুকুরগুলির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
