Suiceide: বিবাদে আত্মঘাতী প্রেমিক, ‘মরে যাচ্ছি’ বলে সুইসাইড নোট লিখে গলায় দড়ি কৃতী ছাত্রীর!
Crime: মৃতা ছাত্রীর নাম পূজা শীল। কানাইপুর কলোনির বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের পূজা দর্শনে পিএইচডি করছিলেন।
হুগলি: বিবাদের জেরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন প্রেমিক। খবর পেয়ে আর চুপ করে বসে থাকেননি প্রেমিকা। একপাতার সুইসাইড নোট লিখেই গলায় দড়ি দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ (Suicide) করলেন এক কৃতী ছাত্রী। উত্তরপাড়ার কানাইপুরের ঘটনা। জানা গিয়েছে মৃতা ছাত্রীর নাম পূজা শীল। কানাইপুর কলোনির বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের পূজা দর্শনে পিএইচডি করছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় নিজের প্রেমিকের আত্মহত্যা করার খবর পাওয়ার পরেই ওই রাতেই গলায় দড়ি দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন পূজা।
মৃতার পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে চাকরি সূত্রে উত্তরপাড়ার কানাইপুরের ন’পাড়ায় থাকতেন পূজার প্রেমিক মনোজিত্ সিংহ। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা মনোজিত্ বি টেক পাশ করে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছিলেন। অন্য়দিকে, পূজা দর্শনে পিএইচডি করছিলেন। পরের বছরই তাঁর থিসিস সাবমিশনের কথা ছিল। সবই ঠিক চলছিল। আচমকা তাঁদের মধ্যে কিছু কথাকাটাকাটি ও বিবাদ হয়। যদিও সে বিষয়ে বিশেষ জানতেন না পরিবারের সদস্যরা। পরে বুধবার সন্ধ্যায় খবর আসে, মনোজিত্ নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর ঘর থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এই কথা শোনার পরেই বেশ খানিকটা গুম মেরে যান পূজা। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, মনোজিতের মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারেননি ওই ছাত্রী। তাই একরকম গুমরে গুমরেই ছিলেন। গতকাল রাতে তাই মেয়েকে কাছছাড়া করেননি মা রীতু শীল। সঙ্গে সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু, তাঁর মেয়ে যে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন তা ভাবতেও পারেননি রীতুদেবী। তাঁর কথায়, “গতকাল রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ওরা দুই বোন ঘরেই ছিল। ১১টার সময় আমি অন্য ঘরে যেতেই পূজা টয়লেটে যায়। ওখানেই ওর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। আমি ভাবতেও পারিনি আমার মেয়ে এমন কাজ করতে পারে। সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছে ওকে দোষী করা হবে। কেন ওকে দোষী করা হবে! ওর তো দোষ নেই!”
পুলিশ জানিয়েছে, মনোজিতের মৃত্যুর খবর পেয়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন পূজা। মনোজিতের দেহ দেখতেও গিয়েছিলেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাতে লেখা, ‘মনোজিৎ চলে গিয়েছে। কিছুই না, সামান্য ঝগড়া হয়েছিল আমাদের। মরে যাচ্ছি। কারও কথা ভাবি না বলে নয়। ও যে বিনা কারণে চলে গেল তার জন্য সকলে আমাকে দায়ী করবে। আমার পরিবারকে দায়ী করবে। তাই যাচ্ছি।’
এই সুইসাইড নোট থেকেই পুলিশের অনুমান, মনোজিতের আত্মহত্যা মেনে নিতে পারেননি পূজা। তাই তিনিও একই পথ নেন। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমনকী, মনোজিতের মৃত্যু স্বাভাবিক আত্মহত্যা না অন্য কোনও কারণ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Balagarh: সহবাসে আপত্তি ছিল, ‘পথের কাঁটা’ সরাতে ১০ হাজার টাকার লেনদেন, ওঝা-খুনে গ্রেফতার মহিলা!