‘বাংলার এনার্জি মমতা ব্যানার্জি’, বিজেপিকে বিঁধে সুজাতার নতুন স্লোগান

"তিন মাস পর কাঁথির বেইমান মিরজাফরের রাজনীতিটা শেষ হয়ে যাবে। নন্দীগ্রামে দিদির কাছে হেরে জামানত জব্দ হয়ে যাবে।"

'বাংলার এনার্জি মমতা ব্যানার্জি', বিজেপিকে বিঁধে সুজাতার নতুন স্লোগান
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 08, 2021 | 1:12 AM

আরামবাগ: আরামবাগে শুভেন্দু অধিকারীর রোড শো-কে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা পদযাত্রায় নেমেছিল তৃণমূল। পদযাত্রায় ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ (Sujata Mondal Khan) থেকে শুরু করে ওই জেলার একাধিক নেতৃত্ব। সেখানেই চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপিকে বিঁধলেন সুজাতা।

আরামবাগের কালিপুর থেকে শুরু হয় তৃণমূলের পদযাত্রা। শেষ হয় আরামবাগের বাসুদেবপুর মোড় এলাকায়। তারপর সেখান থেকে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করে বিজেপির জামানত জব্দ করার’ ডাক দেন সুজাতা মণ্ডল খাঁ। তিনি বলেন, “পশ্চিম বাংলার মানুষের এনার্জি মমতা ব্যানার্জি, আর বিজেপির অ্যালার্জি মমতা ব্যানার্জি।” সভাস্থল থেকে শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন তিনি। সুজাতা বলেন, “কয়েক দিন আগে আপনাদের এখানে কাঁথি থেকে গদ্দার এসেছিল।” নাম না করে বিজেপি নেতাকে ‘দুধ কলা দিয়ে পোষা কাল সাপের’ সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি।

নিজস্ব চিত্র

নন্দীগ্রামে দলীয় সভায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে এসেছেন, সামনের বিধানসভায় সেই আসনে তিনিই প্রার্থী। এবার সেই প্রসঙ্গে টেনে এনে সুজাতা বলেন, “তিন মাস পর কাঁথির বেইমান মিরজাফরের রাজনীতিটা শেষ হয়ে যাবে। নন্দীগ্রামে দিদির কাছে হেরে জামানত জব্দ হয়ে যাবে।” এ দিনের সভা থেকে আসাউদ্দিন ওয়েসির মিমকেও নিশানা করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেত্রী।

শুভেন্দু অধিকারী ও ওয়েসিকে কার্যত এক ছাদের তলায় নামিয়ে এনে তাঁর সাফ কথা, “মিম পার্টিকে ভোট দেবেন না। সংখ্যালঘুদের বলছি মিম বিজেপির বি টিম। মোদীর কাছে টাকা খায় আর বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে বিজেপির বিরোধী দলকে হারায়, গদ্দার মিরজাফর বেইমানদের কোনও ধর্ম বা জাত হয়না। তাঁদের একটাই পরিচয়, সে অধিকারী হোক বা ওয়েসিই হোক তাঁরা আমাদের বাংলার মিরজাফর।”

আরও পড়ুন: দিল্লিতে বন্ধঘরে বসে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল মিলে কী করে? হলদিয়ায় বিস্ফোরক মোদী

এখানেই শেষ নয়। বিজেপি ভারতের জালি পার্টি তকমা দিয়ে সুজাতার সাফ কথা, “বিজেপি ফর ভারতীয় জালি পার্টি।” তবে তৃণমূলের একের পর এক নিশানাকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি। সেখানকার বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “আরামবাগে সে ভাবে লোক হয়নি, তাই সাংসদ শতাব্দী রায় কথা না বলে চলে গিয়েছেন।”