Hooghly TMC: পঞ্চায়েত অফিসে মিটিং করতে চান তৃণমূল নেতা, চাবি না দেওয়ায় হুমকি-গালিগালাজের অভিযোগ
Hooghly TMC: হুগলির পাণ্ডুয়ার হরালদাসপুর পঞ্চায়েতে গত ১৪ তারিখ দলের লোকজন নিয়ে গিয়েছিলেন পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ। অভিযোগ, দলের মিটিং করার জন্য পঞ্চায়েতের মিটিং হল খুলে দিতে বলেন।তবে পঞ্চায়েতর কাজের সময় তৃণমূলের মিটিং করার অনুমতি দেননি কর্মীরা।
হুগলি: মিটিং করার হল না পেয়ে পঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে হুগলির পাণ্ডুয়া বিডিও অফিসের সামনে ধরনায় বসলেন ব্লকের সকল পঞ্চায়েত কর্মীরা। শুধু তাই নয় বাতিল হয়ে গেল ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল ব্লক সভাপতির।
কী ঘটেছে?
হুগলির পাণ্ডুয়ার হরালদাসপুর পঞ্চায়েতে গত ১৪ তারিখ দলের লোকজন নিয়ে গিয়েছিলেন পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ। অভিযোগ, দলের মিটিং করার জন্য পঞ্চায়েতের মিটিং হল খুলে দিতে বলেন।তবে পঞ্চায়েতর কাজের সময় তৃণমূলের মিটিং করার অনুমতি দেননি কর্মীরা। অভিযোগ, এরপরই সঞ্জয়বাবুর বিরুদ্ধে নির্মাণ সহায়ককে অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন। মারধরেরও হুমকি দেওয়া বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নিন্দার ঝড় ওঠে। রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বিজেপি। এ দিকে, এই গণ্ডগোলের জেরে বাতিল হয়ে যায় দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এ দিন, পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের তালবোনা রাধারানি হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার হওয়ার কথা ছিল। পরিষেবা নিতে হাজিরও হন অনেকে। সকাল থেকে পরিষেবা নিতে হাজির হন গ্রামের মানুষ। পঞ্চায়েতের কর্মীরা বিডিও অফিসে ধরনা আন্দোলন করায় শিবিরে কেউ উপস্থিত হননি। তাই বাতিল হয়ে যায় দুয়ারে সরকার শিবির।
বিডিও-র ঘরের সামনে বসে পোস্টার হাতে অবস্থান শুরু করেন শতাধিক এনএস সচিব সহ পঞ্চায়েত কর্মীরা। নিরাপত্তায় ভুগছেন তাঁরা এমনই দাবি সকলের। হরালদাসপুর পঞ্চায়েতের কর্মী প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় দলীয় মিটিং এর জন্য হলের চাবি চান সঞ্জয় ঘোষ। আমরা বলেছিলাম অফিস চলাকালীন দলীয় কাজ করা যাবে না। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি দরকার। সেই কথা শুনে গালাগালি দেন ও হুমকি দেন।”
পান্ডুয়া তৃণমূল ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ যদিও নিজের উপর ওঠা সকল দাবি উড়িয়ে বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার বদঅভ্যাস হল কথা বলার সময় গলার আওয়াজটা বেশি হয়ে যায়। আর হাতটা একটু নাড়ি। তবে আমি কাউকে খারাপ কথা বলেছি প্রমাণ করতে পারলে যা শাস্তি দেবে মেনে নেব। আসলে পঞ্চায়েতের কিছু কর্মী আছে যারা কাজের হিসাব দেয় না। নতুন অঙ্গনওয়াড়ির ঘর হয়েছে সেটায় ফাটল ধরেছে, রাস্তা ঠিক মত হয়নি। অথচ বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানের ডাকে পঞ্চায়েতে গিয়েছিলাম। সেখানে গ্রামবাসীরা আমাকে অভিযোগ করে।” হুগলির বিজেপি সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “যারা মানুষের কাজ করে সেই সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা নেই তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কী করে থাকবে?”