Extra Marital Affairs: বিয়ের যোগ্য ছেলে ঘরে, বউ পালিয়েছে পরপুরুষের সঙ্গে; রাগে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন প্রৌঢ়
Hooghly: এলাকার লোকজনের দাবি, বিশ্বজিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও ওই মহিলা স্বামী জগদীশ সর্দারের কাছে কয়েকদিনের জন্য় ফিরেও যান। যদিও খুব কম সময়ের জন্য। ফের ফেরেন 'প্রেমিক'-এর কাছে। এরপরই বিশ্বজিতের উপর ক্ষোভ জমতে শুরু করে জগদীশের।
হুগলি: ঘরে স্ত্রী রয়েছে, ১৬ বছরের ছেলেও। তবু সেসব ফেলে পরস্ত্রীতে মন মজেছিল ভদ্রেশ্বরের বিশ্বজিৎ মণ্ডলের (৪৪)। সেই পরকীয়াই বেঘোরে প্রাণ কাড়ল। অভিযোগ, যে মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, তাঁর স্বামীই গলা কেটে খুন করেন বিশ্বজিৎকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভদ্রেশ্বর থানার সুভাষপল্লি উত্তরপাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ চন্দননগরের বাসিন্দা। নারুয়াগড়ে বাড়ি, পেশায় ভ্যান চালক। তাঁর স্ত্রী, ছেলে রয়েছে। তবে বছরখানেক আগে এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান তিনি। ওই মহিলা স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে বিশ্বজিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান।
এলাকার লোকজনের দাবি, বিশ্বজিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও ওই মহিলা স্বামী জগদীশ সর্দারের কাছে কয়েকদিনের জন্য় ফিরেও যান। যদিও খুব কম সময়ের জন্য। ফের ফেরেন ‘প্রেমিক’-এর কাছে। এরপরই বিশ্বজিতের উপর ক্ষোভ জমতে শুরু করে বছর পঞ্চান্নর জগদীশের। মাস খানেক আগে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা হয়। যদিও মীমাংসা হয়নি।
বিশ্বজিৎ একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, পরে সেই বাড়িতেই আবারও থাকতে শুরু করেন। সে বাড়ির মালিক মীরা দে বলেন, “আমি অক্ষম মানুষ। ভাবি ও থাকে আমার সঙ্গে, অসুবিধার তো কিছু নেই। সারাদিন থাকে কাজ করে। আমার সঙ্গেই খেত। দিন তিনেক ধরে দেখি আমার সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করছে না। আসলে ওই বউটাকে যে আমি গালাগাল করতাম, সে কারণে। আমার বাড়িতেও ওই বউটার বাড়ির লোকজন এসেছিল। একেবারে বউটা ভাল না। বিয়ের যোগ্য ছেলে ঘরে। তারপরও অন্যের স্বামীর সঙ্গে এইসব।” রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ বিশ্বজিৎ ভ্যান নিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় ধারাল অস্ত্রের কোপ বসান জগদীশ। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া অভিযুক্ত। দেহ উদ্ধার করে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ।