TMC MLA Asit Majumdar: মহিলা কর্মীকে দিয়ে পা টেপানোর পর এবার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ‘বিতর্কে’ চুঁচুড়ার বিধায়ক
Hooghly News: এ নিয়ে সুপর্ণা 'ভুল' স্বীকার করলেও বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ, বিজেপি এই কাজ করেছে। অসিতের বক্তব্য, সুপর্ণা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কিছুই জানেন না। শুধু ফোন ধরতে আর ফোন কাটতে পারেন।
হুগলি: কিছুদিন আগেই তৃণমূলের এক মহিলা কর্মীকে দিয়ে বিধায়কের পা টেপানোর ছবি ভাইরাল হয়েছিল। এবার ভাইরাল হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ। আরও একবার শিরোনামে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার (Asit Majumdar) । কয়েকদিন আগে অসিত মজুমদারের একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় একটি খাটের উপর হেলান দিয়ে শুয়ে অসিত মজুমদার। আর দেবানন্দপুরের তৃণমূলনেত্রী রুমা রায় পাল হাসি মুখে তাঁর পা টিপে দিচ্ছেন। এবার একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মেসেজ সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে চুঁচুড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপর্ণা সেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার ও চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌরিকান্ত মুখোপাধ্যায়কে ‘কাটমানিখোর’ বলে সোচ্চার হয়েছেন। নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুপর্ণা সেন। যদিও এই মেসেজ সম্পর্কে তৃণমূল কাউন্সিলর টিভি নাইন বাংলাকে ফোনে জানান, “আমি কিছু বলিনি। যা বলার বিধায়কই বলবেন। আমি ডিলিট করে দিয়েছি। আমার যে ভুল হয়েছে সেটা আমি লিখেও দিয়েছি। অনিচ্ছাকৃতভাবে চলে গিয়েছে। আমি দুঃখিত তা দলকেও জানিয়ে দিয়েছি।”
কী লেখা রয়েছে এই চর্চিত মেসেজটিতে। সুপর্ণা সেনের নামে ওই মেসেজে লেখা, ‘চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাটমানিখোর অসিত মজুমদার চুঁচুড়া বিধানসভায় কাটমানিখোর ভজনকে নিয়ে ১১০টি পুকুর ও জলাজমি বুজিয়ে বিগত পাঁচ বছরে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। ইডি ও সিবিআইয়ের নজরে থাকা কাটমানিখোর বিধায়ক অসিত মজুমদার জলাভূমি বুজিয়ে প্রোমোটার রাজির প্রজেক্টে ২ কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন। অসিত মজুমদারদের গ্রেফতার করতে হবে।’ ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এই মেসেজের স্ক্রিনশট কার্যত হইচই ফেলে দিয়েছে।
এ নিয়ে সুপর্ণা ‘ভুল’ স্বীকার করলেও বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ, বিজেপি এই কাজ করেছে। অসিতের বক্তব্য, সুপর্ণা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কিছুই জানেন না। শুধু ফোন ধরতে আর ফোন কাটতে পারেন। অসিত মজুমদারের কথায়, “এসব যে করেছে তার সাহস থাকলে নিজের নামেই ছাড়ুক। কেউ যদি কাউকে ৫ কোটির সম্পত্তির মালিক বলেন, তা হলে তো প্রমাণ করতে হবে। আমি তো পুলিশেও অভিযোগ জানিয়েছিলাম পুরভোটের সময়। যে ছেলেটা এসব করছে, দু’দিন আগেও করেছে। আমার কাছে নম্বরও আছে।”
একইসঙ্গে বিধায়কের দাবি, তিনিই এলাকায় পুকুর ভরাট করা, গাছ কাটা, গুন্ডাগিরি, তোলাবাজি রুখেছেন। অথচ এখন তাঁর নামেই দোষারোপ করা হচ্ছে। অসিত মজুমদার বলেন, “যারা এসব অন্যায় করে তাদের সঙ্গে বিজেপি হাত মিলিয়েছে। আমি এসবের পরোয়া করি না।” যদিও এ নিয়ে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “চুঁচুড়ায় পুকুর ভরাট হয়েছে এটা তো আমরা আগে থেকেই বলেছি। এখন তাঁর দলের লোকেরা বলছে। ঘটনা যে সত্যি তা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। আমরা তদন্ত চাই।”