Trinamool MLA : হেলান দিয়ে শুয়ে বিধায়ক, হাসিমুখে পা টিপছেন তৃণমূল নেত্রী, ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্ক
Trinamool MLA : সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের (Trinamool MLA Asit Majumder) এই ছবি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলে চলছে তীব্র চাপানউতর।
হুগলি : দিদির সুরক্ষা কবজ (Didir Surakha kabach) কর্মসূচি শেষে দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিছানায় হেলান দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন তৃণমুল বিধায়ক। তাঁর পা টিপে দিচ্ছেন দলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের (Trinamool MLA Asit Majumder) এই ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সূত্রের খবর, গত ২০ জানুয়ারি, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচি করেন তাঁরই বিধানসভার দেবানন্দপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। সারাদিনের কাজ শেষে এলাকার দলীয় সদস্য পীযূষ ধরের বাড়িতে রাতও কাটান। তাঁদের বাড়ির বিছানাতেই হেলান দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন অসিতবাবু। তখনই তৃণমূলের চুঁচুড়া মগড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুমা রায় পাল বিধায়কের পা টিপে দেন। হাসিমুখে বিধায়কের পা টিপে দেওয়ার সেই ছবি রুমা রায় পাল নিজেরই তার ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করে লেখেন, ‘no caption, শুধু বলি আমার গুরু, আমার ভগবান, যাঁর সেবা করে আমি ধন্য’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এই ছবি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ককে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। হুগলি বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “বিধায়কের পলিসি খুবই পরিষ্কার। গিভ এন্ড টেক। সুতরাং কিছু পেতে গেলে কিছু তো দিতে হবে। এই পলিসিতেই চুঁচুড়ার বিধায়ক বিশ্বাসী। তাঁর এরকম অনেক অনুরাগী আছেন, তাঁদেরকে তিনি দাসী বানিয়ে রেখেছেন, নিজে কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য। আর এর বিনিময়ে কাউকে পঞ্চায়েতের প্রধান, কাউকে পঞ্চায়েতে সদস্য বানিয়ে দেবেন তিনি, এমনই প্রলোভন দেখিয়েছেন তিনি। খুবই লজ্জার বিষয় এটা। ওনার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। এটাই আমরা আশা করব।”
যদিও এ বিষয়ে রুমা রায় পাল বলেন, “ওনার এক মাস আগে পায়ে একটা অপারেশন হয়েছে। অনেক সেলাই পড়েছে। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির পর ওনার পায়ে টান ধরে ছিল। পা টা শক্ত ইটের মতো হয়ে গিয়েছিল। উনি আমাকে মেয়ের মতো স্নেহ করেন। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর উনি আমাকে প্রধান করা থেকে অনেক কিছু করেছেন। আমি ওনাকে বাবার থেকেও বেশি শ্রদ্ধা করি। বাবা-মা র যদি কিছু হয় তখন তো আমরাও ওনাদের সেবা করি। তাই উনি বিধায়ক বলে ওনার সেবা করতে পারব না, এটা কোথায় লেখা আছে। উনি শুয়ে আছেন, আর একজন মেয়ে বাবার যেরকম সেবা করে ওই ফটোটাতে দেখবেন তেমনিই আছে। অনেকটা ম্যাসাজ করার পর ওনার পা বেশ খানিকটা ঠিকও হয়ে যায়। এটা করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করেছিলাম। তাই আমি ফেসবুকের লিখেছিলাম তিনি আমার ভগবান। তাই ছবির সাথে সেই লেখাটাও স্ক্রিনশট হয়ে ভাইরাল হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা হল না। শুধু ছবিটা ভাইরাল হল। বিরোধীদের যেটা কাজ সেটাই করছে। ওরা কিছু পাচ্ছে না, তাই এখন মশলাদার খবর চাই।”