Extramarital Affair: জামাইষষ্ঠীতে খেতে গিয়ে আর ফেরা হল না স্বামীর, পুলিশ ডেকে নিয়ে গেল স্ত্রীকে
Extramarital Affair: ছুটে আসে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ। তাঁরাই দীপঙ্করকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস্ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
হুগলি: জামাইষষ্ঠীতে খেতে ডেকে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। শোরগোল স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক নিয়ে। কাঠগড়ায় স্ত্রীর প্রেমিক। পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার মাকরদহের বাসিন্দা দীপঙ্কর কুন্ডু (৪৪) গত আড়াই বছর ধরে হুগলির বৈদ্যবাটির তেরো নম্বর ওয়ার্ডের মানিক ঘোষের বাগান এলাকায় স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। কাজ করতেন সিকিউরিটি গার্ডের। বুধবার রাতে বৈদ্যবাটি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংলগ্ন নির্জন এলাকায় দীপঙ্কর কুন্ডুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই ডেকে আনেন প্রশাসনের লোকজনকে। খবর পেতেই কাউন্সলির অভিজিৎ গুহ পুলিশে খবর দেন।
ছুটে আসে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ। তাঁরাই দীপঙ্করকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস্ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দীপঙ্করের। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। মৃতের বোন মৌমিতা শ্রীমানি ঘটনার পিছনে তাঁর বৌদি অর্থাৎ জ্যোতি কুণ্ডুর হাত দেখছেন।
মৌমিতা দেবীর অভিযোগ, “বৈদ্যবাটিতে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বৌদির। এনিয়ে দাদার সঙ্গে অশান্তি হতো প্রায়শই। গত তিন চারদিন আর বউয়ের কাছে আসেনি দাদা। এরইমধ্যে জামাইষষ্ঠীতে বৈদ্যবাটির বাড়িতে খেতে ডাকে। সেখানেই বৌদির প্রেমিক তাঁকে কুপিয়ে খুন করে।” ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জ্যোতি কুণ্ডুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্যদিকে মূল অভিযুক্ত রিজু মাঝির খোঁজেও শুরু হয়েছে তল্লাশি।