Extra Marital Affair: রাজমিস্ত্রি বলে কি মন নেই! বালির সেই দুই গৃহবধূর সঙ্গেই ঘর বাঁধতে চান তাঁরা
Extra Marital Affair: তাদের ভালোবাসা রিয়া ও অনন্যার সঙ্গেই আইনি জটিলতা কাটিয়ে সংসার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ওই দুই রাজমিস্ত্রি।
হাওড়া: রাজমিস্ত্রি বলে আমরা কি মানুষ নই! আমাদের কি মন বলে কিছু নেই! আমরাও পারি ভালোবাসতে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এমনই কথা জানালেন নিশ্চিন্দা গৃহবধূ অপহরণ কাণ্ডের দুই অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রী শুভজিত দাস ও চন্দ্রশেখর মজুমদার।তাঁরা আরও জানান, দুই গৃহবধূ অনন্যা ও রিয়াকেই তাঁরা মন থেকে ভালোবাসেন, তাঁদের সঙ্গে সংসার করতে চান। তাঁদের বাড়ির লোকেরাও সম্মতি দিয়েছে। কিন্তু সংসার করতে গেলে রয়েছে আইনি জটিলতা।
দুই গৃহবধূকে বিবাহ বিচ্ছেদ করে তবেই আসতে হবে, এমনটাই জানিয়েছেন আইনজীবী শীর্ষেন্দু চট্টোপাধ্যায়। গত ১৫ ডিসেম্বর নিশ্চিন্দাথানা এলাকার আনন্দনগরে এক ভরদুপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাবে বলে শ্রীরামপুরের উদ্দেশে বেরিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন দুই গৃহবধূ অনন্যা কর্মকার ও রিয়া কর্মকার। বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রী শুভজিত ও চন্দ্রশেখরে সঙ্গে মুম্বই চলে যান তাঁরা।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা শুরু করে পুলিশ। এরপর মুম্বই থেকে ফেরার সময় আসানসোল থেকে শুভজিত ও চন্দ্রশেখরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় দুই গৃহবধূকে। ধৃত দুই রাজমিস্ত্রির জেল হেফাজত হওয়ার পর ওই দুই গৃহবধূকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের নিজ নিজ বাপের বাড়ি। আর এই দিন শুভজিৎ ও চন্দ্রশেখর দুই রাজমিস্ত্রি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তাদের ভালোবাসা রিয়া ও অনন্যার সঙ্গেই আইনি জটিলতা কাটিয়ে সংসার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
ঠিক কী হয়েছিল?
গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন একই পরিবারের দুই বউ। সঙ্গে ছিল একজনের ছেলে। এদিকে এরপরই তাঁদের মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। কর্মকার পরিবারের তরফে নিশ্চিন্দা থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত ১৭ ডিসেম্বর পাঁচজন মুর্শিদাবাদ থেকে হাওড়া স্টেশনে এসে সেখান থেকে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে করে মুম্বইয়ের পথে রওনা দেন।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: এত বোমার মশলা কোথা থেকে আসে? এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু
এদিকে সেখানে তিন দিন থাকার পর অভিযুক্ত এক যুবকের বাড়ি থেকে তাঁর পরিবারের তরফে মুর্শিদাবাদে ফিরে যেতে বলা হয়। সেইমতোই গত ২০ ডিসেম্বর মুম্বই মেলে চেপে তাঁরা মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন। এরপরই মোবাইল ফোনের ট্র্যাকারে ধরা পড়ে তাঁদের গতিবিধি। বুধবার আসানসোলে নামার বিষয়টিও ফোন ট্র্যাক করেই জানতে পারে পুলিশ। সেইমতোই আসানসোল স্টেশনে উপস্থিত ছিল পুলিশ। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই ২ জনকে।