AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jewellery snatching on road : চলন্ত বাইক থেকে মহিলার সোনার হার ছিনতাই, তারপরের ঘটনা হার মানাবে সিনেমাকে

Jewellery snatching on road : ছেলের বাইকে চড়ে যাচ্ছিলেন বাপের বাড়ি, মাঝ রাস্তাতেই সোনার হার ছিনতাই করে চম্পট বাইকবাজের।

Jewellery snatching on road : চলন্ত বাইক থেকে মহিলার সোনার হার ছিনতাই, তারপরের ঘটনা হার মানাবে সিনেমাকে
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2023 | 9:08 PM
Share

বাগনান : শনিবার বিকালে ছেলের মোটরবাইকে চড়ে মুম্বই রোড দিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর ঘাটালে (Ghatal) বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন বছর পঞ্চান্নর অসীমা মান্না। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু, কিছুদূর যাওয়ার পরেই বাধল বিপত্তি। বাইকটা তখন বাগনান মহিষরেখা সেতুর কাছে মুম্বাই রোডে। স্থানীয় সূত্রে খবর, যে সময় আচমকা পিছন থেকে আরও একটি বাইক চলে অসীমা দেবীর ছেলে রাজেশের বাইকের কাছে। দ্রুত গতিতে ছুটে আসা সেই বাইক থেকে আচমকা এক যুবক অসীমা দেবীর গাল থেকে সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় (Jewellery snatching on road)। যদিও রাজেশ বাইকটিকে ধাওয়া করলেও সেটি ততক্ষণে অনেক দূর চলে গিয়েছে। ঘটনার পরেই চিৎকার শুরু করে দেন মা-ছেলে। তাতেই মাঝ রাস্তাতে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।  

সেই সময় পিছন দিক থেকে একটি চারচাকা গাড়ি চিৎকার চেঁচামেচি শুনে সেতুর উপর বাইকটিকে সাইড চেপে দেয়। আটকে পড়ে বাইকে থাকা যুবক। স্থানীয় বাসিন্দারাই ধরে ফেলেন তাঁকে। পুলিশ জানায় ধৃত যুবকের নাম জহুরউদ্দিন খা। বাড়ি বাগনান থানার দেউলটি উত্তর চককমলা গ্রামে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর বাইক। ঘটনা প্রসঙ্গে অসীমা দেবীর ছেলে রাজেশ বলেন, হার ছিনতাই হতেই আমরা চিৎকার শুরু করি। রাস্তায় লোক জমে যায়। তখনই একটি চারচাকা গাড়ি রাস্তাতেই বাইকটিকে চেপে দেয়। আটকে পড়ে চোর। 

হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “কিছুদিন ধরে মুম্বই রোড থেকে ছিনতাইয়ের খবর আসছিল। পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। এর পিছনে একটা চক্র কাজ করে। তারাই বাইক নিয়ে এই অপকর্ম করে। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে এর পিছনে আরও কারা যুক্ত আছে।” এদিকে সাধের হার ফিরে পেয়ে তো থানায় গিয়ে কেঁদেই ফেললেন অসীমা দেবী। ধন্যবাদও জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশকে।