Howrah Bridge: সাংসদ-বিধায়কদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ বিজেপির! অবরুদ্ধ হাওড়া ব্রিজ
Protest in Howrah Bridge: একদিন আগেই নাগরাকাটায় বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর। তাঁদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় খগেন মুর্মুকে।

হাওড়া: উত্তরবঙ্গে বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়েই তুমুল বিক্ষোভ দলের কর্মী-সমর্থকদের। দিকে দিকে চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। এরইমধ্যে হাওড়া ব্রিজেও অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের তরফে। এদিকে কর্মসূচির কথা শোনা মাত্রই পুলিশি তৎপরতাও দেখা যায়। পথে দেখা যায় ব্য়ারিকেড। রাস্তায় নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী, র্যাফ। পুলিশের তরফ থেকে বিশাল গার্ড রেল দিয়ে হাওড়া থেকে কলকাতাগামী যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল হাওড়া সদরের বিজেপির মহিলা মোর্চার তরফে। যদিও পরবর্তীতে যুব সংগঠনের প্রচুর সমর্থককেও এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা যায়। লাগাতার সরকারের বিরুদ্ধে উঠতে থাকে স্লোগান। কিছু সময়ের মধ্যেই তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই নাগরাকাটায় বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর। তাঁদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় খগেন মুর্মুকে। এদিন তাঁকে দেখতে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকেই সরকারের বিরদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গেরুয়া শিবিরের এক নেত্রী বলেন, “যেভাবে আমাদের সাংসদ, বিধায়কদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে তাতে পরিষ্কার যে একটা গুন্ডারাজ চলছে এই বাংলার বুকে। আর্তদের পাশে দাঁড়ালেও সাংসদ, বিধায়কদের আক্রমণের শিকার হতে হয়। সেখানে এই বাংলায় সাধারণ মানুষরা কী অবস্থায় আছেন ভেবে দেখুন। ক্যামেরাতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কারা কারা আক্রমণের সময় অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন। তাঁদের কাউকেই এখনও ধরা যায়নি। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি।”
