AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Howrah Fraud Case: যুবকের অজান্তেই তাঁর আধার-প্যান দিয়ে চলছিল কোটি কোটি টাকার ব্যবসা! হাতেনাতে ধরল হাওড়া পুলিশ

Howrah Fraud Case: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লিলুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চামড়াইলের যুবক সৌভিক ঘোষ। তিনি অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থা খোলার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করাতে গিয়েছিলেন। এরপরই হতবাক হয়ে যান তিনি।

Howrah Fraud Case: যুবকের অজান্তেই তাঁর আধার-প্যান দিয়ে চলছিল কোটি কোটি টাকার ব্যবসা! হাতেনাতে ধরল হাওড়া পুলিশ
ধৃত সুরজিৎ দত্তImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2023 | 9:24 AM
Share

হাওড়া: সাইবার প্রতারণার জাল যেভাবে পাতা হচ্ছে, তাতে প্রত্যেকটা পদক্ষেপ সাবধানে ফেলার কথা বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যাতে দেখা গিয়েছে গ্রাহকের অজান্তে নিমেষেই ফাঁকা হয়ে গিয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। তবে সম্প্রতি একটি ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করাতে গিয়ে হতবাক হয়ে যান হাওড়ার লিলুয়ার এক যুবক। জানতে পারেন, তাঁর নামে আগে থেকেই চলছিল এক কোম্পানি। তাঁরই আধার কার্ড, প্যান কার্ড ব্যবহার করে কোম্পানি চলছে, অথচ তিনিই জানেন না! অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে অভিযুক্তকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে লিলুয়া থানার পুলিশ।

সৌভিক ঘোষ নামে এক যুবকের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে লিলুয়া থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লিলুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চামড়াইলের যুবক সৌভিক ঘোষ। তিনি অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থা খোলার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করাতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং অন্যান্য প্রমাণপত্র নকল করে আগে থেকেই শিবা ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি সংস্থা চলছে। এ কথা শুনে কার্যত হতবাক হয়ে যান সৌভিক। তিনি আরও জানতে পারেন ওই কোম্পানিতে তাঁর নামে দুটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে গত দু’বছরে ৮ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।

শিবা ট্রেডিং নামে ওই কোম্পানির কলকাতায় যে ঠিকানা দেওয়া ছিল, সেটাও ভুয়ো বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ওই সংস্থার যাবতীয় কাগজপত্র দেখাশোনা করতেন পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সুরজিৎ দত্ত। তাঁর নামেই লিলুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা শুরু করেছে পুলিশ।