AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fake IPS: মদ্যপ সঙ্গীকে জেল থেকে ছাড়াতে এলেন খোদ ‘আইপিএস’, আসল রহস্য উদ্ধার হতেই চোখ কপালে পুলিশের

Howrah Police: নিজেকে ভুয়ো আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে আটক সঙ্গীকে থানা থেকে ছাড়তে এসে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি।

Fake IPS: মদ্যপ সঙ্গীকে জেল থেকে ছাড়াতে এলেন খোদ 'আইপিএস', আসল রহস্য উদ্ধার হতেই চোখ কপালে পুলিশের
ভুয়ো আইপিএস (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Feb 12, 2022 | 3:24 PM
Share

হাওড়া: হঠাৎ থানায় হাজির খোদ আইপিএস। সঙ্গে-সঙ্গে টঠস্থ বড়বাবু থেকে বাকি পুলিশকর্মীরা। থানার মধ্যেই চলল খাতির যত্ন। চা, জলখাবার সঙ্গে কত কিছু। তবে হঠাৎই বাধ সাধল কয়েকটি কথা। তখনই সন্দেহ হয় বড়বাবুর। আর তারপর?  কখনও চিকিৎসক, কখনও সাংবাদিক, কখনও আবার পুলিশকর্মী, কখনও ভুয়ো সিআইডি। এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এবার আবার নতুন ঘটনা হাওড়ায়। নিজেকে ভুয়ো আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে আটক সঙ্গীকে থানা থেকে ছাড়তে এসে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। গ্রেফতার করা হল তাকে।

কী ঘটেছে? শুক্রবার হাওড়ার প্রকাশ্য বাজারেই মদ্যপ অবস্থায় মাতলামি করছিল এক যুবক। তার অত্যাচারে রীতিমত অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিলেন এলাকাবাসী। আসরে নামে পুলিশ। ওই মদ্যপকে থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। থানায় হাজির হলেন এক আইপিএস অফিসার। সঙ্গে আরও একজন। পুলিশ স্টেশনে ঢুকে সাফ দাবি লকআপ থেকে ছেড়ে দিতে হবে ওই মদ্যপকে।

এদিকে থানায় এসেছেন খোদ আইপিএস। ফলত তটস্থ রয়েছেন বড়বাবু থেকে থানার অন্য আধিকারিকরা। একেবারে আইপিএসকে খাতির যত্ন করে দেওয়া হয় চা, জল। কিন্তু তাঁর এদিনের কথাবার্তায় প্রথমে সন্দেহ ঘনীভূত হয়। বড়বাবু এবার কথায় কথায় নানা তথ্য জেনে নেন ওই আপিএস দাবি করা ব্যক্তির থেকে। তখনই উঠে আসে আসল ঘটনা। ওই ব্যক্তি আসলে জালি। কোনও আইপিএস নন তিনি।

জানা যায়, ভুয়ো আইপিএস পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির নাম নরেশ কুমার। তিনি ২০১৪ সালের ব্যাচের আইপিএস বলে নিজেকে পরিচয় দেন। বলেন,বেলুড়ের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। আসলে মদ্যপ চন্দনকে থানা থেকে ছাড়াতেই এই পন্থা অবলম্বন করছিলেন তিনি।

কী ভাবে পাকড়াও ভুয়ো আইপিএস? থানার বড়বাবু নরেশকে তাঁর পরিচয় পত্র ও নথি দেখাতে বলেন। তখনই বেকায়দায় পড়েন ‘আইপিএস’। তিনি যে পরিচয়পত্র দেখান তা আসলে সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্র। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ওই ব্যক্তি সেনাবাহিনীর সিপাহির পদ থেকে অবসর নিয়েছেন সম্প্রতি। এরপর ওই ভুয়ো আইপিএসকে গ্রেফতার করা ছাড়া উপায় ছিল না থানার আধিকারিকদের। সঙ্গী সমেত ভুয়ো আইপিএসকে আজ হাওড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে তাঁর ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে। পাশাপাশি তার থেকে পাওয়া নথিপত্র খতিয়ে দেখছে বালি থানার পুলিশ।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা