Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করতেই রাজীবের নামে ডোমজুড় জুড়ে পোস্টার

'বিতর্কিত' ফেসবুক পোস্টের পরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) বিরুদ্ধে ডোমজুড়ে (Domjur) পড়ল পোস্টার।

ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করতেই রাজীবের নামে ডোমজুড় জুড়ে পোস্টার
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে পোস্টার পড়ল ডোমজুড়ে
Follow Us:
| Updated on: Jun 09, 2021 | 1:49 PM

হাওড়া: ‘বিতর্কিত’ ফেসবুক পোস্টের পরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) বিরুদ্ধে ডোমজুড়ে (Domjur) পড়ল পোস্টার। বুধবার সকালে সলপ বাজার এলাকায় তৃণমূলের নামে ওই পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারে লেখা, বিশ্বাসঘাতক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেন দলে ফেরানো না হয়।

নির্বাচনের ঠিক কিছু দিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড় থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরাজিত হন। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে সেভাবে আর প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়নি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপি বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নেন।

এমনকি দলের তরফে হেস্টিংসে মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও যোগ দেননি তিনি। বরং সে সময় সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। আর তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেবে না’।

যে ৩৫৬ ধারাকে হাতিয়ার করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তাঁরই দল, তিনি সে মুহূর্তে তাল কেটেছেন! পোস্ট ভাইরাল হতেই দলের নানা নেতার তরফে তিরস্কার ধেয়ে এসেছে। শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত, যে কর্মীরা তাঁর জন্য নির্বাচনে লড়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো।” তবে মঙ্গলবারই তাঁকে কড়া ভাষায় বিঁধেছেন সৌমিত্র খাঁ। এক টুইটে বিষ্ণুপুরের সাংসদ রাজীবের মন্তব্য উদ্ধৃত করে লেখেন, “৪২ হাজার ভোটে হারার পর মনে পড়ল? বিজেপির ৪২ জনের বেশি কর্মী মারা গিয়েছে, তখন চুপ থাকা মানে শাসকদলকে সমর্থন করা।”

আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলে ফিরলে কুকুরের মতো থাকতে হবে’, রাজীব ইস্যুতে বিস্ফোরক সৌমিত্র

বিজেপির মধ্যেই ভিন্ন সুরে স্বাভাবিকভাবে ফ্রন্টফুটে তৃণমূল। একে নির্বাচনে ভরাডুবি, তার ওপর দলের সিনিয়র নেতাদের দলবদলের জল্পনা। অস্বস্তিতে বিজেপি। রাজীবের বেসুরে সম্ভবত আরও বাড়ল পদ্মশিবিরের মাথাব্যথা। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কে কী ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, আমার জানা নেই। বিজেপি নেতারা আগে অন্তর্কলহ মেটান, তারপর তৃণমূল নিয়ে মন্তব্য করবেন।”