Kalyan Banerjee attacks Jagddep Dhankhar :’আম্বেডকর জানলে রাজ্যপাল পদই রাখতেন না,’ ধনখড়কে কুরুচিকর আক্রমণ কল্যাণের
Kalyan Banerjee On Jagdeep Dhankhar: "বুদ্ধ, সিপিএম, মোদী- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতে পারেননি। আর রাজ্যপাল তাদের কাছে খুবই নগণ্য''।
হাওড়া: বালি বিল নিয়ে নতুন করে সঙ্ঘাতে রাজ্যপাল বনাম রাজ্য। এই প্রেক্ষিতে হাওড়া থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তাঁর মন্তব্য, “রাজ্যপাল পোষা সাদা হাতি পোষার সমান”। এমনকী “খানদানি বদমাশ লোক” বলে হাওড়া পৌরনিগমের ভোট প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে বেনজির আক্রমণ করেন তৃণমূলের আইনজীবী- সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রাজ্যের রাজ্যপালকে সাদা হাতির সঙ্গে তুলনা করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রে দুয়ারে চিকিৎসক অনুষ্ঠানে এসে বেনজির ভাষাতে আক্রমণ করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, “বি আর আম্বেডকর যদি জানতেন, জগদীপ ধনখড়ের মতো কোনও ব্যক্তি রাজ্যপাল হবেন, তাহলে সংবিধানে রাজ্যপালের কোনও পদ তিনি রাখতেন না”।
উল্লেখ্য, এদিনই হাওড়া পুরনিগমের ভোট স্থগিত রাখা নিয়ে নয়া বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে দার্জিলিং রাজভবনে তলব করা হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর হাই কোর্টে তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা চাইল রাজভবন।
এদিকে কল্যাণ রাজ্যপালকে ‘হাস্যকর চরিত্র’ বলেও কটাক্ষ করেন। এদিন তিনি বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপালের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে। হাওড়া পৌরনিগমের বালি সংক্রান্ত যে বিল তিনি সই না করে আটকে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেন কল্যাণ। বলেন, “কোন অধিকারে এটা করেছেন?”
তৃণমূল সাংসদ আরও যোগ করেন, “বুদ্ধ, সিপিএম, মোদী- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতে পারেননি। আর রাজ্যপাল তাদের কাছে খুবই নগণ্য”। রাজ্যপাল কে ‘কচি বাচ্চা ছেলে’, ‘নর্দমার পোকার মতো উড়ে যাবেন’ বলে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
এর পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তাঁর সঙ্গে সাংবিধানিক তর্কসভায় বসার কথা বলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জোর গলায় বলেন রাজ্যপাল বসলে তাকে বুঝিয়ে দেবেন সংবিধান কতটুকু অধিকার তাঁকে দিয়েছে।
পাশাপাশি এদিনও ঘরওয়াপসি করা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে কল্যাণকে। বলেন, “ডোমজুড় বিধানসভায় যে তেতাল্লিশ হাজার ভোটে হেরে গিয়েছে, তার বিষয়ে বেশি কথা বলা ঠিক নয়। অপ্রয়োজনে তাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। ডোমজুড় বিধানসভা এখন সন্ত্রাস মুক্ত ও মস্তান মুক্ত”। তিনি এও মন্তব্য করেন, তৃণমূল নেতারা ভাত আর সবজি খেয়ে ভাল থাকতে পারেন। তাদের গদ্দারের মতো দক্ষিণ কলকাতায় চারটে বাড়ি, দুবাইতে ফ্ল্যাট লাগে না”।
আরও পড়ুন: Sisir Adhikari: প্রথমবার শিশির নেই ঘাসফুলে! অধিকারী বিনা তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: মুকুট-তলোয়ার অতীত, নতুন বছরে অনুব্রতকে উপহার সাড়ে ছয় কেজি রুপোর ‘দলনেত্রী’