Sukanta Majumdar: ‘ভারতীয় মুসলিমরা এখানে ছিলেন, আছেন এবং আগামীদিনেও থাকবেন’, SIR নিয়ে অভয়বাণী সুকান্তর

Sukanta on SIR: এসআইআর নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছে ঘাসফুল শিবির। বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে তোপের পর তোপ দেগে চলেছে নেতা-মন্ত্রীরা। সুকান্ত যদিও বলছেন ওসবে কান দেওয়ার দরকার নেই। তোপের পর তোপ দাগলেন বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে।

Sukanta Majumdar: ‘ভারতীয় মুসলিমরা এখানে ছিলেন, আছেন  এবং আগামীদিনেও থাকবেন’, SIR নিয়ে অভয়বাণী সুকান্তর
গঙ্গারামপুরের সভায় সুকান্ত Image Credit source: Social Media

| Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 25, 2025 | 7:39 PM

গঙ্গারামপুর: অনুমতি নিয়ে চলেছে দীর্ঘ টানাপোড়েন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি ছাড়াই গঙ্গারামপুরে হচ্ছে সুকান্ত-শুভেন্দুর সভা। মঞ্চে উঠেই এসআইআর নিয়ে অভয় বার্তা দিতে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। সঙ্গে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের। হুঙ্কারের সুরে বললেন, “আমরা বিজেপির সকল নেতৃত্ব মিলে ঠিক করেছি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোর সরকারকে উৎখাত করব। তবেই শান্তি হবে আমাদের। নাহলে আমাদের শান্তি নেই।” এসআইআর নিয়ে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে অভয়বার্তা দিতে গিয়ে শুরুতেই বলেন, “এখন তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”

এসআইআর নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছে ঘাসফুল শিবির। বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে তোপের পর তোপ দেগে চলেছে নেতা-মন্ত্রীরা। সুকান্ত যদিও বলছেন ওসবে কান দেওয়ার দরকার নেই। তাঁর সোজা কথা, “তৃণমূল বলবে মুসলমানদের নাম বাদ দিয়ে দেবে। আমি মুসলিম ভাইদের আশ্বাস্ত করে বলছি যাঁরা ভারতের নাগরিক সে হিন্দু হোক বা মুসলমান হোক তার নাম ভোটার লিস্ট বাদ যাবে না। সে গ্যারান্টি ভারতীয় জনতা পার্টি দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যদি কোনও মুসলিম এখানে চলে আসে তাহলে তাঁদের কীভাবে এসআইআরে রাখব? কিন্তু ভারতীয় মুসলিমরা এখানে ছিলেন, আছেন  এবং আগামীদিনেও থাকবেন।” 

এদিনের সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কটাক্ষের ধার আরও বাড়িয়ে বলেন, “আমরা প্রকৃত ধর্মনিরেপক্ষ, ওরা ছদ্ম ধর্মনিরেপক্ষ। ওরা লড়াই লাগাতে চায়।” এরপরই প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসার ভূয়সী প্রশংসা করে ভারতীয় মুসলিমদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সুকান্ত বলেন, “আমরা লড়াই চাই না। নরেন্দ্র মোদীর সবার সাথ, সবার বিকাশের মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাই। তাই এসআইআর নিয়ে ভয় পাবেন না। কিন্তু যাঁদের ২০০২ সালে নাম নেই, মা-বাবারও নাম নেই তাঁরা দুই ক্যাটাগরিতে পড়তে পারেন। হিন্দু বা মুসলিম হতে পারেন। দুই ক্যাটাগরির লোকেরাই বাংলাদেশ থেকে এসে থাকতে পারেন। সেই উদ্বাস্তুদের জন্য় আমরা সিএএ-র ব্যবস্থা করেছি। নরেন্দ্র মোদী তাঁদের অধিকার দিয়েছে। তাঁরা এই ভারতবর্ষেই থাকবে। এখানে ভোট দেবেন।”