AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Awas Yojana: ফুটো হওয়া টিনের চাল, বৃষ্টিতে ভেজে খাট, আশ্বাস নিয়েই দিন কাটছে HS-এ 7th হওয়া কোয়েলের

Awas Yojana: এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খারিজা বেরুবারি ১ নং গ্রামপঞ্চায়েতের বালুর ডিপ গ্রামের বাসিন্দা কোয়েল গোস্বামী। ফল প্রকাশের পর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে সরকারি আমলারা অনেকে সংবর্ধনা দিতে ছুটে যান তাঁর বাড়িতে।

Awas Yojana: ফুটো হওয়া টিনের চাল, বৃষ্টিতে ভেজে খাট, আশ্বাস নিয়েই দিন কাটছে HS-এ 7th হওয়া কোয়েলের
কোয়েল গোস্বামীImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2025 | 12:44 PM
Share

জলপাইগুড়ি: ঝড় উঠলে কাঁপে ঘর। আর বৃষ্টি আসলে কথাই নেই। হাজারটা ছিদ্র দিয়ে অঝোর ধারায় পড়া জলে ভিজে যায় খাট, ঘরের মেঝে। এই ঘরে থেকেই বহু কষ্ট করে লেখা-পড়া করে উচ্চমাধ্যমিকে সপ্তম হয়েছিলেন। দু’বার আবেদন করে আজও আবাসের ঘর পাননি বলে দাবি জলপাইগুড়ি কোয়েল গোস্বামীর পরিবারের।

এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খারিজা বেরুবারি ১ নং গ্রামপঞ্চায়েতের বালুর ডিপ গ্রামের বাসিন্দা কোয়েল গোস্বামী। ফল প্রকাশের পর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে সরকারি আমলারা অনেকে সংবর্ধনা দিতে গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। সেই সময় প্রত্যেকেই দেখেছিলেন বাড়ির করুণ দশা। সকলেই একবাক্যে বলেছিলেন, শহর তো দূরের কথা গ্রামেও এমন বাজে পরিস্থিতিতে কোনও মানুষ থাকেন না। এদের অবিলম্বে আবাসের ঘর পাওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তব চিত্র হল, দু’বার আবাসের জন্য আবেদন করলেও আজও ঘর পাননি  কোয়েল গোস্বামীর পরিবার দাবি তাদের।

কোয়েলের বাবা অশোক গোস্বামী হাটে পান সুপারি বিক্রি করেন। সামান্য আয় দিয়ে স্ত্রী দুই মেয়েকে নিয়ে কোনওভাবে দিন যাপন করেন। একদিকে যেমন ঘর নেই তাঁদের, পাশাপাশি নেই ‘অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার’ রেশন কার্ডও। ওই কার্ড যদি থাকত, তাহলে চালের সঙ্গে মাসে ২০ কেজি আটা পেত এই পরিবার। আর তা পায় না বলে আক্ষেপের শেষ নেই। কোয়েল জানায়, “বেঁচে থাকার জন্য আমাদের যা প্রয়োজন তার নূন্যতম কিছুই পাই না।”

কোয়েলের বাবা অশোক গোস্বামী বলেন, “আবাসের জন্য আবেদন করেছিলাম। লাভ হয়নি। আর রেশন কার্ড না থাকায় বিনামূল্যে আটা পাই না। খুব কষ্ট করে আছি। মেয়ের সাফল্যের পর বিডিও এসে নিজে বলে গিয়েছিলেন আবাসের জন্য আবেদন করতে। আমরা আবেদন করেওছিলাম। কিন্তু বাড়ি পাইনি। সমস্যা সমাধান হলে খুব উপকার হয়।” কোয়েলের মা বাসন্তী গোস্বামী বলেন, “মেয়ের সাফল্যের পর অনেকেই এসেছিল। আমাদের পরিস্থিতি দেখে পারলে তক্ষুনি বাড়ি করে দেয়। চলে যাওয়ার পরে সবাই সব ভুলে গেছে।”

এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা সবিতা বারই বলেন, “এই পরিবার আবাস ও অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার রেশন কার্ড দুটোই পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু পাচ্ছে না। আমরা বিজেপি করি বলে কোনও কাজ বললে তৃণমূল পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েতের তরফে তা করা হয় না।” তৃণমূলের জেলা সম্পাদক বিকাশ মালাকার বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ। তৃণমূল চায় এক্ষুনি ওই পরিবার আবাসের ঘর পাক। আসলে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিধায়ক নিজেও গিয়েছিল ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। এইসব দেখে বিজেপি পঞ্চায়েত ভেবেছে ওই পরিবার তৃণমূল হয়ে গেছে। আর দলের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া আছে প্রকৃত মানুষ কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে যাতে বঞ্চিত না হয়।”

বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, “এটা এই রাজ্যের লজ্জা। আবাস নিয়ে তৃণমূল পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি করেছে। এই পরিবার কাট মানি দিতে পারছে না। তাই আবাস পায়নি। আমরা চাই অবিলম্বে এই মেধাবী ছাত্রীর পরিবারকে আবাস দেওয়া হোক।” জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিডিও মিহির কর্মকার জানিয়েছেন, ওই পরিবারের কাছ থেকে আবাসের আবেদন পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।