মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই আজ আমি এখানে, তৃণমূলকে জেতাব, গোর্খাল্যান্ডও হবে: গুরুং
কী বার্তা দেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো, অধীর আগ্রহে পাহাড় থেকে সমতল
শিলিগুড়ি: প্রায় তিন বছর পর শিলিগুড়িতে সভা বিমল গুরুংয়ের। রবিবার গান্ধী ময়দানে গুরুং যখন সভাস্থলে পৌঁছলেন হাজার হাজার মানুষের ভিড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমোকে দেখার জন্য উপচে পড়েছে পাহাড় থেকে সমতল। এতদিন পর আগল ভেঙে প্রকাশ্যে গুরুং। এদিন সভামঞ্চ থেকে আরও একবার বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। বিজেপিকে ‘বিশ্বাস ঘাতক’-এর তকমা দেন এই মোর্চা নেতা। বলেন,”বিজেপি আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমাদের পৃথক রাজ্যের দাবি ছিল। বারবার দিল্লিতে ওদের কাছে গিয়েছি। নেতা, মন্ত্রীদের সামনে দরবার করেছি। কিন্তু আমাদের পাত্তা দেওয়া হয়নি। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।” এই মঞ্চ থেকেই গুরুং হুঁশিয়ারি দেন উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে মোর্চা। তৃণমূলের সঙ্গে থেকে এই লড়াই লড়বে। গুরুং বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই আজ আমি এখানে। উত্তরবঙ্গে প্রতিটা আসনে আমরা তৃণমূলকে জেতাব। এই লড়াই আমাদের নিজেদের গোর্খাল্যান্ডের দাবির প্রতি লড়াই।”
আরও পড়ুন: ‘সততার প্রতীক’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পোস্টারে ছয়লাপ শহর
প্রায় তিন বছর পর আবারও স্বমহিমায় পাহাড়ে ফিরেছেন বিমল গুরুং। মাঝের সময়টা তাঁর কেটেছে অন্তরালে। শোনা গিয়েছে, কখনও তিনি দিল্লিতে, কখনও আবার পাহাড়েই নিজের গোপন ডেরায় লুকিয়ে। নাগালে আসেনি কারও। তাঁর বিরুদ্ধে UAPA-র ধারায় মামলা রয়েছে। এছাড়াও একাধিক মামলা ঝুলছে তাঁর নামে।
আরও পড়ুন: পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুনীর্তিগ্রস্ত, তারাই বেশি চিৎকার করে, রাজীবকে তোপ অরূপের
এরইমধ্যে গত ২১ অক্টোবর হঠাৎই সকলকে চমকে দিয়ে কলকাতায় হাজির হন তিনি। সেখান থেকে ঘোষণা করেন, একুশের বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে সবরকম সমর্থন দেবে তাঁর দল। বিজেপি তাঁদের বিশ্বাস ভেঙেছে বলেও সেদিন অভিযোগ তুলেছিলেন গুরুং। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিমল গুরুংয়ের ভূমিকা যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে তার আঁচ মিলেছিল সেদিনই।