Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP: যাকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে ঘেরাও করতে গিয়েছিলেন, তাঁকেই ফুল দিলেন বিজেপি নেতা

BJP: এদিন অলোক চক্রবর্তীকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সব বিরোধের ইতি টানলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামল রায়। বিক্ষুব্ধদের হাত থেকে ফুলের তোড়াও গ্রহণ করেন তিনি।

BJP: যাকে 'দুর্নীতিবাজ' বলে ঘেরাও করতে গিয়েছিলেন, তাঁকেই ফুল দিলেন বিজেপি নেতা
Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2025 | 1:09 PM

জলপাইগুড়ি: কোনও রাজনৈতিক দলেই গোষ্ঠীকোন্দল আর নতুন কিছু নয়। দুই বিজেপি নেতার সেই কোন্দল একেবারে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল কিছুদিন আগেই। সেই নেতাদেরই এবার দেখা গেল একে অপরের বুকে জড়িয়ে ধরতে। বিজেপির প্রাক্তন সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তীকে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির তৎকালীন জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী এবং বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষের বিরুদ্ধে।

২০২৩ সালেই সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছিল জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি বিজেপির নতুন সভাপতি শ্যামল রায়ের নাম ঘোষণা হওয়ার পর অলোক চক্রবর্তী নব নির্বাচিত জেলা সভাপতিকে দুর্নীতিবাজ বলে জেলা কার্যালয় ঘেরাও করার ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার ভিন্ন ছবি দেখা গেলো। অলোক চক্রবর্তী নিজেই ফুলের তোড়া নিয়ে জেলা সভাপতিকে সংবর্ধনা দিতে হাজির হলেন।

এদিন অলোক চক্রবর্তীকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সব বিরোধের ইতি টানলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামল রায়।

এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি শ্যামল রায়। তিনি বলেন, জলপাইগুড়িতে দলের ভিতর দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। অলোক চক্রবর্তী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অলোক বাবু কী মন্তব্য করেছেন তা জানা নেই।” তবে ২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে সবাইকে সঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন তিনি।

বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী বলেন, “প্রাক্তন ও বর্তমান জেলা সভাপতির মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে। আমরাও চাই উনি সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করে তৃণমূলকে উৎখাত করুন। আর আজ মনে হল উনিও তাই চাইছেন।”

অপরদিকে এই ঘটনাকে ‘সেটিং’ বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের জেলা সম্পাদক বিকাশ মালাকার। তিনি বলেন, ‘যাঁকে রাস্তায় ফেলে লাথি মারা হল, যিনি নতুন জেলা সভাপতিকে চোর আখ্যা দিলেন, তিনিই আবার ফুলের তোড়া নিয়ে গেলেন। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে চুরির টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে গেল।’