বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ২৪ ঘণ্টা পর সেই প্রার্থীকেই ফুলের তোড়ায় বরণ বিজেপি অফিসে

দু-এক দিনের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে, আগেও বলেছিল বিজেপি (BJP)। ভাঙা অফিসের (Party Office) সামনে সেই ছবিই ধরা পড়ল

বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ২৪ ঘণ্টা পর সেই প্রার্থীকেই ফুলের তোড়ায় বরণ বিজেপি অফিসে
ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হল বিজেপি কর্মীকে
Follow Us:
| Updated on: Mar 20, 2021 | 4:32 PM

জলপাইগুড়ি: প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বিজেপি (BJP) কর্মীদের বিক্ষোভের ছবি সামনে আসে। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব আগেই জানিয়েছিল যে কয়েক দিনের মধ্যেই সব সমস্যা মিটে যাবে। আর সেরকমই ছবি ধর পড়ল জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্রে এক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছবিটা পাল্টে গেল। প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হতেই যেখানে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন কর্মীরা, সেই ভাঙা জেলা কার্যালয়ের সামনে আসতেই ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা হল সেই বিজেপি প্রার্থীকেই। মান অভিমান ভুলে ঘোষিত প্রার্থীকেই বুকে টেনে নিলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা।

জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির পক্ষ থেকে টিকিট দেওয়া হয় সৌজিত সিংহকে (Soujit Singh)। বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকেই সেখানে শুরু হয় বিক্ষোভ। মনপসন্দ প্রার্থী টিকিট না পাওয়ায় প্রার্থী বদলের দাবিতে জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি দীপেন প্রামানিকের অনুগামীরা। ঠিক ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই শুক্রবার সন্ধেয় দেখা গেল একেবারে ভিন্ন ছবি। জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সৌজিত সিংহ এ দিন আসেন ডিবিসি রোডের ওই বিজেপির দফতরে। প্রার্থী আসতেই বিজেপি নেতা কর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। বহু নেতা কর্মীরা উপস্থিত থেকে স্বাগত জানান বিজেপি প্রার্থীকে।

ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রার্থী নিজেই বললেন আমাদের অভিভাবক জ্ঞানে মেনে নিয়ে তিনি আগামীতে চলবেন। আর প্রার্থী যখন একবার অফিসে এসে গিয়েছে তখন বেশিরভাগ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। আমরা তাঁকে নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজে নামবো এবং এই আসনে জিতবো।’ তাঁর দাবি যারা এই কাজ করেছে দল তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। উপযুক্ত শাস্তি হবে তাঁদের। কিছু লোক আমাদের মধ্যে ভাঙন ধরাতে গিয়েছিল তারা সফল হবেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিজেপি প্রার্থী সৌজিত সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘বিজেপি পার্টি অনেক বড় হয়েছে। মানুষের অনেক আকাঙ্খাও আছে। তাই অনেকে চেয়েছে প্রার্থী হতে, কিন্তু প্রার্থী তো একজনই হবে। আর দল আমার নাম ঘোষণা করেছে। এতেই অনেকের ক্ষোভ। সেই ক্ষোভ মিটে গিয়েছে। এখানকার মানুষ অনেক সচেতন, তাই বিজেপিই জয়ী হবে।’

উল্লেখ্য, গতকালই সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যারা পতাকা পুড়িয়েছে তারা দলের লোকও নয়।’ তাঁর দাবি, যাঁরা দলীয় পতাকা পোড়াচ্ছেন, যাঁরা পার্টি অফিসের আসবাব ভাঙছেন তাঁরা কখনই দলের লোক হতে পারে না। তবে বিজেপির মতো দলের ক্ষেত্রে এটা অনভিপ্রেত বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন, বিজেপি একটি সংগঠিত রাজনৈতিক দল। তাই তারা সংগঠিতভাবেই দু-এক দিনের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে। সেই ছবিই ধরা পড়ল জলপাইগুড়িতে।