Duare Sarkar: ‘মানুষের ট্যাক্সের টাকায় হচ্ছে’, এবার দুয়ারে সরকারে ‘ভোটের অঙ্ক’ কষছে CPIM?

Duare Sarkar: ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি। সেখানেই একাধিক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, দুয়ারে সরকার শিবিরের ভিতরেই 'সহায়তা কেন্দ্র' নাম দিয়ে ক্যাম্প চালাচ্ছে সিপিএম। সেই ক্যাম্পে মানুষের ভিড়ও রয়েছে। প্রচুর মানুষও আসছেন। সিপিএম কর্মীরা তাঁদের ফর্ম ফিলাপ করে দিচ্ছেন। কারও কোনও অসুবিধা হলে তা বোঝার চেষ্টা করছেন। 

Duare Sarkar: 'মানুষের ট্যাক্সের টাকায় হচ্ছে', এবার দুয়ারে সরকারে 'ভোটের অঙ্ক' কষছে CPIM?
সিপিএম এর ক্যাম্পImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2025 | 4:57 PM

জলপাইগুড়ি: রাজ্য়জুড়ে চলছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সেই মতো জলপাইগুড়িতেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে কর্মসূচি। এবার সেই দুয়ারে সরকারের শিবিরে পাশেই ক্যাম্প তৈরি করল সিপিএম। তা নিয়ে যদিও কম কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে না বামেদের। বিজেপি ইতিমধ্য়েই আঁতাত দেখতে শুরু করেছে গোটা বিষয়টিতে। তবে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, মানুষকে সাহায্য় করতেই এই ক্যাম্প তৈরি করেছে তারা।

ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি। সেখানেই একাধিক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, দুয়ারে সরকার শিবিরের ভিতরেই ‘সহায়তা কেন্দ্র’ নাম দিয়ে ক্যাম্প চালাচ্ছে সিপিএম। সেই ক্যাম্পে মানুষের ভিড়ও রয়েছে। প্রচুর মানুষও আসছেন। সিপিএম কর্মীরা তাঁদের ফর্ম ফিলাপ করে দিচ্ছেন। কারও কোনও অসুবিধা হলে তা বোঝার চেষ্টা করছেন।  তবে এতে বিতর্ক বেড়েছে। এক সময় বামেরা সরকারের এই কর্মসূচিকে কম কটাক্ষ করেনি। এ দিকে, দেখা গেল তারাই সেখানে ক্যাম্প বানাচ্ছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা, আগামী বছর বিধানসভা ভোট। তার আগে নিজেদের ‘ধসে’ যাওয়া সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চাইছে বামেরা। ‘দুয়ারে সরকার’ ক্য়াম্পে আগত সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে বাড়াতে চাইছেন জনসংযোগ।

এ প্রসঙ্গে সিপিএম-এর এরিয়া কমিটির সম্পাদক শুভাশিস সরকার বলেন, “দুয়ারে সরকার শিবির হচ্ছে। মানুষ সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। মানুষের ট্যাক্সের টাকা দিয়েই এটা হয়। ফলে মানুষকে সাহায্য করার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের পাশেই আমরা এই সাহায্য কেন্দ্র খুলেছি।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা তো সরকারি প্রকল্প। সেখানে যদি তৃণমূলের বাহিনী থাকে, তাহলে আমাদের লোক থাকবে না কেন? এরা কি কেনা গোলাম নাকি? আর এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকায় ক্যাম্প চলে না। মানুষের ট্যাক্সের টাকায় চলে।” তৃণমূল জেলা সম্পাদক বিকাশ মালাকার বলেন, “সিপিএম বুঝেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন। সেই উন্নয়নকে সাধুবাদ জানাতেই ওরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ক্যাম্প করে সাহায্য করছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে আমরা ওদের ধন্যবাদ জানাই।” অপরদিকে, বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এর আগে দিদিমণির দুয়ারে গিয়ে বিমানবাবুরা ফিসফ্রাই খেয়ে এসেছেন। এটা তো নতুন নয়।”