Dhupguri: কবে মিলবে ক্ষতিপূরণ? রাতভর হাতির তাণ্ডবের পরেই তুমুল বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল রেঞ্জ অফিসে
Elephant Attack: সোমবার সকাল থেকেই ক্ষতিপূরণের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় এলাকার কৃষক। আর তার ঢেউ আছড়ে পড়ে মরাঘাট রেঞ্জ অফিসেও। সেখানেও দীর্ঘ সময় ধরে চলল ব্যাপক বিক্ষোভ। গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

ধূপগুড়ি: হাতির হামলা যেন রোজকার ঘটনা। বারবার হামলায় নষ্ট হয়েছে চাষের ফসল। ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। আর তার জেরেই এবার বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল মরাঘাট রেঞ্জ অফিসে। বিক্ষোভ দেখালেন ধূপগুড়ির চানাডিপা গ্রামের কৃষকরা। রবিবার গভীর রাতে হাতির হানায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ধূপগুড়ির চানাডিপা ও উত্তর চানাডিপা এলাকায়। বিঘের পর বিঘে জমি চাষের ধান জমিতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভরা মরসুমে মাথায় হাত কৃষকদের।
সোমবার সকাল থেকেই ক্ষতিপূরণের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় এলাকার কৃষক। আর তার ঢেউ আছড়ে পড়ে মরাঘাট রেঞ্জ অফিসেও। সেখানেও দীর্ঘ সময় ধরে চলল ব্যাপক বিক্ষোভ। গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রবিবার রাতেই পাশের জঙ্গল থেকে প্রায় এক ডজন হাতি ঢুকে পড়েছিল লোকালয়ে। তারপর রাতভর চলে তাণ্ডব। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। মানুষের তাড়া খেয়ে নেমে পড়ে জমিতে। সেখানেই হয় সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি। তাতেই চরম দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। রাতারাতি গোটা মরসুমের পরিশ্রম কার্যত জল-কাদায় মিশে গিয়েছে।
তবে এই যে প্রথম হাতির হানার ছবি দেখা গেল এমনটা নয়। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, এ ছবি বারবার দেখা যাচ্ছে। প্রায়ই হাতির দল খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে ফসল নষ্ট করছে। অভিযোগ বন দফতরের বিরুদ্ধেও। ক্ষোভ উগরে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বলছেন, বন দফতরকে বললেও সঠিক সময়ে তারা আসে না। ফলে যা ক্ষতি হওয়ার হয়েই যায়। এখন ক্ষতিপূরণও সঠিক সময়ে পাওয়া যায় না।
এদিকে বিক্ষোভের জেরে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলেও। জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মরাঘাট রেঞ্জ অফিসার চন্দন ভট্টাচার্য যদিও বলছেন জঙ্গল লাগোয়া যে সমস্ত এলাকা রয়েছে সেখানে নজরদারি অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলছেন, “যে কোনও জায়গাতেই বন্যপ্রাণীর হানার খবর পেলেই আমাদের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। বন দফতর সতচর্কতা রয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচারও চলছে।” যদিও দ্রুত ন্যায্য ক্ষতিপূরণ না পেলে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা।
