জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নামাজি পাড়ার বাসিন্দা বছর আটত্রিশের ঝর্না খাতুন। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হতেই শোরগোল এলাকায়। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ তাঁদের মেয়েকে গলা টিপে খুন করেছে জামাই। নেপথ্যে রয়েছে বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কজনিত টানাপোড়েন। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর বাবা। শোকের ছায়া পরিবারে।
রাজগঞ্জ ব্লকের সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহান পাড়া গ্রামে বাড়ি ঝর্না খাতুনের। প্রায় ১৯ বছর আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের নামাজি পাড়ার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর উসমান গনি মহম্মদের। তাঁদের বাড়িতে দুই মেয়েও রয়েছে। একজনের বয়স ১৭, অন্যজনের ১৩। ভালই চলছিল সংসার। ঝর্নার খাতুনের বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ, কদমতলা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন উসমান। যা নিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার ঝামেলাও হয়। প্রতিবাদ করাতেই স্বামীর হাতেই খুন হয়ে যান তাঁর স্ত্রী। ঘটনার পর থেকেই আর কোনও খোঁজ নেই উসমানের। ফোন সুইচড অফ।
জামাইয়ের নামে বুধবার বিকালে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। ঘটনায় মৃতার বাবা তফিরুল মহম্মদ বলেন, “কিছুদিন ধরেই অন্য এক মহিলার সঙ্গে আমার স্বামীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তারপর থেকেই মেয়ের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল। গতকাল রাতে ফের নতুন করে অশান্তি হয়। আজ সকালে আমারা জানতে পারি আমাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি দেহ নিচে নামানো। গলাও ফুলে আছে। ওরা আমাদের মেয়েকে গলা টিপে মেরে তারপর ঝুলিয়ে দিয়েছে।” ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনি জামাই, যে মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বলে তাঁদের অভিযোগ সেই মহিলা ছাড়াও আরও ৫ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিও উঠেছে।