Jalpaiguri: ছেলের বাড়ি থেকেই বিয়ের প্রস্তাব যায় ২ দিন আগে, তবুও সেই পাত্রী এসেই ধরনায় বসল ঘরের সামনে! দাবি আজব
Jalpaiguri: জানা গিয়েছে, বালুর ঢিপ এলাকার বাসিন্দা বুদারু রায়ের ছেলে দিলীপ রায়। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল পার্শ্ববর্তী তেলিপাড়া এলাকার এক তরুনীর। বিষয়টি জানতে পেরে যুবকের পরিবারের তরফে ঘটকের মাধ্যমে ওই তরুণীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়।

জলপাইগুড়ি: যে কোনও মূল্যে তাঁকেই বিয়ে করতে হবে। এই দাবি নিয়ে বিয়ের মুখে পাত্রের বাড়িতে ধর্নায় বসল প্রেমিকা। চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে। আর হাতে মাত্র ১২ দিন। তারপরই প্রেমিকের বিয়ে। আয়োজন চলছে জোর কদমে । কিন্তু শনিবার আচমকাই পাত্রের বাড়ির সামনেই হাজির এক তরুণী। তাতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের, খারিজা বেরুবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুর ঢিপ এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বালুর ঢিপ এলাকার বাসিন্দা বুদারু রায়ের ছেলে দিলীপ রায়। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল পার্শ্ববর্তী তেলিপাড়া এলাকার এক তরুনীর। বিষয়টি জানতে পেরে যুবকের পরিবারের তরফে ঘটকের মাধ্যমে ওই তরুণীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব তরুনীর বাড়ির পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। শুধু তাই নয়, যুবক এবং তার পরিবার সম্পর্কে অপমানজনক কথাও বলা হয় বলে অভিযোগ। এরপর পার্শ্ববর্তী অন্য এলাকার এক তরুনীর সঙ্গে সামাজিক মতে বিয়ে ঠিক হয় ওই যুবকের। আষাঢ় মাসের ১৯তারিখ বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে।
ইতিমধ্যেই পাত্রপক্ষ এবং পাত্রীপক্ষের বাড়িতে বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ চলছে। নিমন্ত্রণপত্র বিলি হয়ে গিয়েছে। আচমকাই এদিন ওই তরুনী এসে বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে ধর্ণায় বসায় বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত অবস্থা যুবকের বাড়িতে।
তরুনী আসার পর বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান যুবক। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমে যায় এলাকায়। ধর্নায় বসা ওই তরুনীর দাবি, এক বছর থেকে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। তার বাড়ির লোকজন অমত থাকলেও তিনি নিজে যুবকের কাছে বিয়ের জন্য কিছুদিন সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু তার মধ্যে যে ওই পাত্র অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে নেবেন, সেটা তিনি দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি।
ওই তরুণী বলেন, “আমাদের বাড়ি থেকে প্রথমে রাজি ছিল না, তাই আমি ওর কাছে সময় চেয়েছিলাম। আমি নিজের ইচ্ছাতেই এখন এসেছি। আমি কখনই ওকে না করে দিইনি। আমি বলেছিলাম, সময় দাও।”

