Aadhar: ভ্যাকসিনের পর আধারের জন্য আঁধার রাত থেকে ভিড়! পুলিশের মারে হুলুস্থুল সেই নাগরাকাটা
Aadhar Card: আধার কার্ডের জন্য টোকেন নিতে এসে পুলিশের ডান্ডা খেতে হল! আমরা বিনা ডাকে এসেছিলাম? না ডাকলে আমরা আসি? রাগত ভঙ্গিতে মন্তব্য তাঁর।
জলপাইগুড়ি: কয়েক সপ্তাহ আগে করোনা ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) জন্য হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে টিকাকেন্দ্রের সামনে পদপিষ্ট হয়ে আহত হয়েছিলেন প্রায় ৩০ জন মানুষ। পুজোর আগে সেই একই ঘটনার প্রায় পুনরাবৃত্তি হচ্ছিল নাগরাকাটা পোস্ট অফিসে। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে অল্পের জন্য এড়ানো গেল বড় বিপদ। কিন্তু নতুন করে আধার কার্ড (Aadhar Card) বানানোর টোকেন দেওয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল নাগরাকাটা ব্লকের নাগরাকাটা পোস্ট অফিসে। ফের আঙুল উঠল প্রশাসনের দিকে।
বানারহাট ব্লকের ব্লকের দুরামারি ভ্যাকসিন কান্ডের পুনরাবৃত্তির হওয়ার হাত থেকে অল্পের জন্যে রক্ষে পেল নাগরাকাটা পোস্ট অফিস। কীভাবে? জানা গিয়েছে, এদিন পোস্ট অফিস (Post Office) থেকে আধার কার্ডের টোকন দেওয়ার কথা ছিল মহালয়ার দিন। তবে কতজনকে দেওয়া হবে তা পোস্ট অফিস থেকে জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ। যা নিয়ে বিভ্রান্তের সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে।
তাই একসঙ্গে নাগরাকাটা ব্লকের ১২টি চা বাগানের মানুষেরা একবারে চলে আসেন পোস্ট অফিসে। পোস্ট অফিসের গেটে তালা মারা থাকলেও গেটের বাইরে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায়। গেট না খোলায় ধীরে ধীরে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। শুরু হয় বিক্ষোভ। এদিকে ভিড় এড়াতে গেটের ভিতরে পুলিশ এসে সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তার পরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাঠিচার্জ-ও করতে দেখা যায় পুলিশকে। এদিকে বিক্ষোভ ও হুড়োহুড়ির মাঝে পোস্ট মাস্টার জানিয়ে দেন, সময় লাগবে। কিন্তু টোকন সবাইকেই দেওয়া হবে। এর পর গেট খুলে দিলে প্রায় অর্ধেক মানুষ ভিতরে ছোটাছুটি করে চলে যায়। প্রথমে পুলিশ তাদের সামলাতে হিমসিম খেলেও পরে সামল দেওয়া হয়। এনিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এলাকায়।
প্রসঙ্গত বেশ কয়েদিন আগে দুরামারিতে ভ্যাকসিন নিতে এসে হুড়োহুড়ি করে ঢুকতে গিয়ে প্রায় ৩৫ জন জখম হয়েছিল। আর সেই ঘটনাই ঘটতে চলছিল নাগরাকাটা ব্লকের পোস্ট অফিসে। ফের প্রশাসনের দিকে আঙুল উঠেছে। কেন কত সংখ্যক মানুষকে আধার কার্ড সংশোধনের টোকেন দেওয়া হবে আগে জানানো হল না। এ নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শোরগোল।
পবন কুমার নামে এক স্থানীয়ের দাবি, আধার কার্ডের জন্য টোকেন নিতে এসে পুলিশের ডান্ডা খেতে হল! আমরা বিনা ডাকে এসেছিলাম? না ডাকলে আমরা আসি? রাগত ভঙ্গিতে মন্তব্য তাঁর। আরেক স্থানীয়ের কথায়, এর আগে ২ সেপ্টেম্বর বলেছিল সবাইকে আসতে। তখন বলেছিল টোকেন নেই। ৬ তারিখ হবে। এবার রাত ১২ টা থেকে সবাই লাইন দিয়েছিলাম। এখন পুলিশ নিয়ে ধমকাচ্ছে!
পোস্ট অফিসের তরফে এক আধিকারিকের কথায়, সবাইকেই টোকেন দেওয়া হবে। আসলে ১৫-২০ জন করে ডেকে লাভ নেই। কারণ অনেকেই আধার কার্ডের সমস্যায় ভুক্তোভোগী। একজনকে ডাকলে সবাই চলে আসবেন। তাই এই ব্যবস্থা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কেন এমন ব্যবস্থা করা হল? উত্তর নেই কারও কাছে।
আরও পড়ুন: Abbas Siddique: ‘ভাইজান বেনিয়ম করেছেন’, মাদ্রাসা উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার দেগঙ্গায়!