NIA: ভিখারির বাড়িতে পৌছল NIA, হইহই পড়ে গেল হলদিবাড়িতে
NIA: এনআইএ সুত্রে জানা গিয়েছে, তাদের আমেদাবাদ শাখায় একটি অভিযোগ ওঠে। দায়ের হওয়া মামলায় দেশে নাশকতামূলক কাজকর্মের একটি অভিযোগ ওঠে। সেখানেই নাম উঠে আসে রাখি বর্মণের ছেলে বিশ্বজিৎ বর্মণ।
হলদিবাড়ি: উত্তরবঙ্গে এনআইএ হানা। সোমবার সকালে কোচবিহারের ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত শহর হলদিবাড়ি পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ধারা নগর কলোনীর বাসিন্দা রাখি বর্মণ নামে এক মহিলার বাড়িতে আসেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এনআইএ সুত্রে জানা গিয়েছে, তাদের আমেদাবাদ শাখায় একটি অভিযোগ ওঠে। দায়ের হওয়া মামলায় দেশে নাশকতামূলক কাজকর্মের একটি অভিযোগ ওঠে। সেখানেই নাম উঠে আসে রাখি বর্মণের ছেলে বিশ্বজিৎ বর্মণ। সেই ঘটনার তদন্ত করতে এনআইএ-র চারজন আধিকারিকের একটি দল হলদিবাড়ি পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বর্মণের বাড়িতে পৌঁছয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘেরাও করে তাঁর বাড়ি। সঙ্গে ছিলেন হলদিবাড়ি থানার পুলিশ আধিকারিক ও বিশাল র ।
বিশ্বজিৎ বর্মণের বাবা মারা গিয়েছেন। তাঁর মা ভিক্ষাবৃত্তি করেন। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, বিশ্বজিৎ নিতান্তই সাদাসিধে ছেলে। ক্যাটারিং কর্মী সে। তবে বর্তমানে বাড়ি নেই তিনি। কাজের সুত্রে বাইরে আছে বলে জানিয়েছেন তার মা রাখি বর্মণ। অভিযানের পর রাখিকে কিছু কাগজে সই করিয়ে নিয়ে গিয়েছেন আধিকারিকরা বলে দাবি রাখির। রাখি বলেন, “ওরা ঘরবাড়ি আমার বাক্সপ্যাঁটরা খুলে দেখল। স্বামীর ব্যাঙ্কের বই দেখল। ছেলে বাইরে কাজে গিয়েছে।” প্রতিবেশী মলয় দাস বলেন, “আশুরাম কাকা বলতাম। উনি ভিক্ষুক ছিলেন। আজ দেখলাম বিএসএফ ও বড় বড় অফিসাররা এই বাড়িতে এসেছেন। কেন এসেছেন বুঝতেই পারছি না।”