
ধূপগুড়ি: গত বৃহস্পতিবার বাংলায় ভোট প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার ফের ভোটবঙ্গে মোদী। রবিবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে রয়েছে মোদীর সভা। প্রসঙ্গত, বাংলায় সাত দফায় লোকসভা ভোটের শুরু হয়ে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ থেকে। ১৯ এপ্রিল ভোট রয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। ২৬ এপ্রিল ভোট দার্জিলিং, রায়গঞ্জ বালুরঘাটে। মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুরে ভোট রয়েছে ৭ মে। তাই সব রাজনৈতিক শিবিরেরই পাথির চোখ এখন উত্তরবঙ্গে। সভা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগেই বিজেপিতে ভাঙন ধূপগুড়িতে।
ধূপগুড়ির সাকোয়াঝোড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৬ নম্বর বুথে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন পাঁচটি পরিবারের মোট ২৫ জন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা সূত্রধর। তাঁর সঙ্গে এদিনের যোগদান পর্বে ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মলয় রায়। নতুন যোগদানের কারণে এলাকায় ঘাসফুল শিবিরের শক্তি অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার তিনি জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত বর্মন এবং আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞার সমর্থনে ধূপগুড়িতে সভা করতে চলেছেন। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। এই ধূপগুড়িতে উপনির্বাচনে বিজেপির হাত থেকে তৃণমূল আসন ছিনিয়ে নেয়। সে কারণেই পদ্ম নেতারা ধূপগুড়িকে আলাদা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছেন। সে কারণেই ধূপগুড়িতে একেবারে মোদীর সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও। গত দু’দিন ধরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সভা থেকে মোদী সরকারকে লাগাতার তোপ দেগেছেন। এরইমধ্যে ফের বঙ্গের সভা থেকে মোদী কী বার্তা দেন সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।