Red Panda Skin Recovered: ৩০ লক্ষেরও বেশি দামে বিক্রির ছক, চিতাবাঘের পাশাপাশি এই প্রথম রেড পান্ডারও চামড়া উদ্ধার
Red Panda Skin Recovered: প্রথম দু'দিনে তাঁরা সন্দেহজনক তেমন কিছু দেখতে পাননি। মঙ্গলবার ওই এলাকা দিয়ে নেপাল নম্বরের একটি বাইক যেতে দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়।
জলপাইগুড়ি: রেড পান্ডার চামড়া উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন নেপালের নাগরিককে। তাঁদের কাছ থেকে ২ টি রেড পান্ডার চামড়া ও একটি চিতাবাঘের চামড়া উদ্ধার হয়েছে। বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের অফিসার সঞ্জয় দত্ত ও তার টিম গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে চামড়াগুলি উদ্ধার করে। যার বাজার মূল্য ৩০ লক্ষাধিক টাকা। ধৃত তিন জনের নাম চন্দ্রপ্রকাশ চেমজং, গোবিন্দ সানবা লিম্বু, ইয়াকপু শেরপা। প্রত্যেকেই নেপালের বাসিন্দা।
বৈকন্ঠপুরের ডিএফও হরি কৃষ্ণণন জানান, রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তের কাছে খবর ছিল, ওই এলাকা থেকে বন্যপ্রাণী পাচার হবে। সেই মোতাবেক রেঞ্জ আধিকারিক তাঁর দল নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় ঘাঁটি গেড়েছিলেন।
প্রথম দু’দিনে তাঁরা সন্দেহজনক তেমন কিছু দেখতে পাননি। মঙ্গলবার ওই এলাকা দিয়ে নেপাল নম্বরের একটি বাইক যেতে দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। ওই বাইকে তিন জন নেপালের বাসিন্দাই ছিলেন। বাইকটিকে দাঁড়াতে বলে চালক আরও গতি বাড়িয়ে দেন। ফলে তাঁদের সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। এরপর তাঁদের তাড়া করে কিছুটা দূরে বাইকটিকে ধরে ফেলেন আধিকারিকরা।
তল্লাশি চালিয়ে ওই বাইকে রাখা ব্যাগ থেকেই চামড়া উদ্ধার হয়। বন কর্তারা জানাচ্ছেন, রেড পান্ডার চামড়া উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম। গত কয়েক বছরে শেষ কবে রেড পান্ডার চামড়া এই ভাবে পাচার হয়েছে, তা বলা সম্ভব নয়।
জানা গিয়েছে, চামড়াগুলি ভুটানে পাচার করা হচ্ছিল। সেখানে এক চিনা নাগরিকের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল চামড়াগুলি। ৩০ লক্ষেরও বেশি টাকায় তা বিক্রির কথা ছিল। এর পিছনে একটা বড় চক্র সক্রিয় বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। ধৃত তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই চক্রের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।