AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mamata Banerjee in North Bengal: দৌড়ে গেলেন মমতার কনভয়ের দিকে, ধরিয়ে দিলেন চিঠি! কী লেখা তাতে?

Mamata Banerjee: একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়কে হাত নাড়িয়ে থামার অনুরোধ করছেন বেশ কয়েকজন। তারপর গাড়ির গতি একটু কমতেই তাদের মধ্যেই একজন ছুটে গিয়ে একটি চিঠি ধরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। কিন্তু কী রয়েছে সেই চিঠিতে?

Mamata Banerjee in North Bengal: দৌড়ে গেলেন মমতার কনভয়ের দিকে, ধরিয়ে দিলেন চিঠি! কী লেখা তাতে?
মমতাকে চিঠি গ্রামবাসীরImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2025 | 9:03 AM
Share

জলপাইগুড়ি: আধিকারিকের উপর জমেছে ক্ষোভ। গ্রামের মানুষকে কথা দিয়েও কথা রাখেননি তিনি। তাই এবার সুযোগ পেতেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়ে দিলেন সেই গ্রামবাসীরা। ঘটনা জলপাইগুড়ির বানারহাটের গয়েরকাটা এলাকার। সেখানে জ্যোতির্ময় কলোনির বাসিন্দাদের ‘নালিশ চিঠি’ পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার দুপুরেই বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিনের দিন বাগডোগরায় পৌঁছতেই তৎপরতার সঙ্গে একাধিক বন্য বিধ্বস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বললেন দুর্গতদের সঙ্গেও। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের খবর আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন ওই জ্য়োতির্ময় কলোনির বাসিন্দারাও। তাদের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে কনভয় যেতে চলেছে, তা পুলিশি নিরাপত্তা দেখেই ঠাওর করেছিলেন বিক্ষুব্ধরা। এরপরই সুযোগ বুঝে মমতার গাড়ির সামনে হাজির হন তাঁরা।

একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়কে হাত নাড়িয়ে থামার অনুরোধ করছেন বেশ কয়েকজন। তারপর গাড়ির গতি একটু কমতেই তাদের মধ্যেই একজন ছুটে গিয়ে একটি চিঠি ধরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। কিন্তু কী রয়েছে সেই চিঠিতে? কলোনির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বানারহাটের সেচ দফতরের এসডিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। আধিকারিকের উপর তাঁদের আস্থা যে সম্পূর্ণ ভাবে হারিয়ে গিয়েছে, সেই কথাই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।

কেন হারাল আস্থা?

আংরাভাসা নদীর উপর বোল্ডার দিয়ে বাঁধ নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছেন ওই জ্যোতির্ময় কলোনির বাসিন্দারা। প্রতি বছর বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠে আংরাভাসা। তারপর বানভাসী হয় আশপাশের এলাকা। ঘরেও হাঁটা-চলা করতে হয় এক হাঁটু জল নিয়েই। তাই এই দুর্ভোগ কমাতে সেচ দফতরের কাছে বহুবার বাঁধ তৈরির দাবিতে দ্বারস্থও হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বৃষ্টি নামে, জোয়ার আসে, প্লাবিত হয় এলাকা। তারপর প্রতি বছরের ন্যায় তা পরির্দশনে আসেন আধিকারিকরা। আসেন নেতারাও। দিয়ে দেন বাঁধ তৈরির প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না কোনওটাই। ফলত দুর্ভোগই হয়ে ওঠে তাদের জীবন সঙ্গী।

এক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সম্প্রতি সেচ দফতরের তরফে ১ মাসের মধ্য়ে বাঁধ নির্মাণ করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া ‘নালিশ চিঠির’ সঙ্গে সেচ দফতরের সেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ‘রিসিভ চিঠিও’ জুড়ে দিয়েছেন তাঁরা।